কাজিরবাজার ডেস্ক :
চলতি এপ্রিল মাসেই পাঁচ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। পরবর্তী সময়ে আরও পাঁচ হাজার ডাক্তার নিয়োগের কথা জানান মন্ত্রী।
বুধবার বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ ২০১৯ উপলক্ষে ‘চিকিৎসাসেবায় নৈতিকতা’ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘দেড় বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দশ হাজার ডাক্তার নিয়োগের অনুমতি দেন। কিন্তু নানা জটিলতায় এতদিন এই নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি। চলতি মাসের শেষে পাঁচ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে আরও পাঁচ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরকারের স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি জানান, এখন গড় আয়ু ৭২ বছর। এটা সরকারের একটি সাফল্য। এই সরকারের আমলে ১৯টি সরকারি ও ৪৩টি বেসরকারি হাসপাতাল অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘ডাক্তারদের সবার সঙ্গে তুলনা করলে হবে না। তাদের ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। মনে রাখতে হবে একজন রোগী সৃষ্টিকর্তার পর ডাক্তারের ওপরই ভরসা রাখে। মৃত্যু পথযাত্রী রোগী ভালো হওয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে আসে। ডাক্তারদের রোগীকে আপনজন মনে করতে হবে। সেই দৃষ্টিতে সেবা দিতে হবে।’
‘স্বাস্থ্যসেবা অধিকার, শেখ হাসিনার অঙ্গীকার’ স্লোগানে ১৬ এপ্রিল থেকে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
বক্তব্য দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ) জি. এম. সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এম এ আজিজ।