গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে কলেজ কর্তৃপক্ষের চাহিদা মত টাকা না দিতে পারায় এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হওয়া ৪ শিক্ষার্থীর সংবাদ সম্মেলন করেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে গোলাপগঞ্জের একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চার শিক্ষার্থীর পক্ষে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন শিক্ষার্থী শাকিল আহমদ। এ সময় লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমরা উপজেলার লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের শ্রীবহর গ্রামে অবস্থিত কাওছারাবাদ কলেজের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী। বিগত বছরের এইচ.এস.সিতে আমরা ৪জন পরীক্ষার্থী ইংরেজী পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে এবারের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় রেফার্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পরীক্ষা ফি ৭৫০ টাকা হলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ ৩ হাজার ৫শ’ টাকা জমা দেই। তারপরও কলেজ কর্তৃপক্ষ অতিরিক্ত আরো ৩ হাজার টাকা, কলেজের ৬ মাসের বেতন বাবদ দেয়ার কথা বলেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই মনসানুযায়ী আমাদের কাছ থেকে টাকা চান। দরিদ্র পরিবারের সন্তান ও কলেজের চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় পরীক্ষার পাস কার্ড (এডমিট কার্ড) দেয়া হয়নি। এতে করে গত ৬/৪/২০১৯ইং অনুষ্ঠিতব্য এইচ.এস.সি ইংরেজী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারিনি। কলেজ কর্তৃপক্ষ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের হয়রানী করেছেন। পরীক্ষার কয়েকদিন পূর্বে এডমিট কার্ডের জন্য কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিনের কাছে তিনি কলেজের চেয়ারম্যান এর কাছে লিখিত আবেদন দেয়ার কথা জানান। লিখিত আবেদন দিলে পরীক্ষার দিন সকালে কাওছারাবাদ কলেজ থেকে এডমিট কার্ড সংগ্রহ করে পরীক্ষায় দেয়ার কথা জানান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিন। পরীক্ষার দিন সকালে কলেজে উপস্থিত হলে আমাদেরকে এডমিট কার্ড দেয়া হবে না বলে জানান কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ সময় শিক্ষার্থীরা এর ন্যায় বিচারের দাবী করেন। এ সময় অপর তিন শিক্ষার্থী মনসুর উদ্দিন, জাবেদ আহমদ, ঝন্টু পাল উপস্থিত ছিলেন।