কে. এম. লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
জাফলং পাথর কোয়ারি এলাকার পিয়াইন নদীর ওপর থেকে অস্থায়ী বেইলি ব্রীজ অপসারণ করা হয়েছে। গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাথর কোয়ারি সংশ্লিষ্ট স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে তাদের নিজ উদ্যোগে পেলোডার মেশিন দিয়ে বেইলি ব্রীজটি অপসারণ করেন।
জানা যায়, জাফলংয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যয় রোধে প্রায় ১৪.৭৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে চিহ্নিত করে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়। এতে করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে মহামান্য উচ্চ আদালতের এক আদেশে জাফলং কোয়ারি থেকে উত্তোলিত পাথর পরিবহনের জন্য ডাউকি-পিয়াইন নদীর ওপর বেইলি ব্রীজ স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পরবর্তীতে ব্যবসায়ী সংগঠনের অন্য আরেক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা নং ১১৭২/২০১৮ এর আলোকে মহামান্য হাই কোর্ট কোয়ারি থেকে উত্তোলিত পাথর পারাপারের জন্য ডাউকি-পিয়াইন নদীর ওপর একটি অস্থায়ী বেইলি ব্রীজ স্থাপনের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পাথর পরিবহনের জন্য সম্প্রতি পিয়াইন নদীতে অস্থায়ী একটি বেইলি ব্রীজ নির্মাণ করেন। কিন্তু পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ বিধায় গোয়াইনঘাটের ইউএনও বিশ্বজিত কুমার পাল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে ব্রীজটি অপসারণের জন্য নির্দেশ দেন।
এতে সম্মত হয়ে ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বেইলি ব্রীজটি অপসারণ করেন। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, আদালতের পূর্বের নির্দেশনা অনুযায়ী (ইসিএ) অন্তর্ভূক্ত এলাকায় বেইলি ব্রীজ স্থাপনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু হাই কোর্টের অন্য আরেক আদেশের বলে পাথর ব্যবসায়ীরা বেইলি ব্রীজ স্থাপন করেছিল। কিন্তু পরিবেশের বিপর্যয় রোধে ব্রীজটি অপসারণের জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করলে নিজেদের উদ্যোগে তারা ব্রীজটি অপসারণ করে নেয়।