হবিগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে আ’লীগ প্রার্থী মিজান বিজয়ী

20
বিজয়ী আওয়ামীলীগ প্রার্থী মো: মিজানুর রহমান মিজান।

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জ পৌরসভার উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান (নৌকা) প্রতীকে ১৩ হাজার ২০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) হবিগঞ্জ পৌর আওয়মীলীগের সভাপতি নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৮৭ ভোট।
রাতে বেসরকারী ভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, সিলেট ও রিটার্নিং অফিসার খোরশেদ আলম।
কোন ধরণের সহিংসতার ঘটনা ছাড়াই সোমবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএম এর মাধ্যমে চলে এ ভোট গ্রহণ।
উপ- নির্বাচনে অন্যান্য প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি স্বতন্ত্র (আ’লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী সৈয়দ কামরুল হাসান (জগ) প্রতীকে প্রাপ্ত ভোট ৮৮৫ ভোট, মো. মর্তুজ আলী (চামচ) প্রতীক নিয়ে প্রাপ্ত ৩৯০ ভোট, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম. ইসলাম তরফদার তনু (মোবাইল) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭ ভোট।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাচনে ব্যাপক উন্নয়ন আর জনপ্রিয়তার কারণে টানা তিনবার মেয়র নির্বাচিত হন জিকে গউছ। গউছ পৌরবাসীর কাছে এতটাই জনপ্রিয় ছিলেন- গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর কারাগারে থেকেও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। সেই নির্বাচনে মিজানুর রহমান মিজান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে তৎকালীন মেয়র জিকে গউছের সাথে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই করে চমক সৃষ্টি করেছিলেন।
তখন ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ে মাত্র ১৫ শত ২৩ টি ভোট কম পেয়ে পরাজিত হন তিনি। মিজান এবার দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়ে তার সাথে ভোটের মাঠে বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) হিসেবে লড়া নিজ দলের আরও ৩ প্রার্থীকে হারিয়ে তিনি চমক সৃষ্টি করেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গত ২৮ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র জি কে গউছ। ফলে মেয়র পদটি শূন্য ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
মোট কাষ্টিং ভোটের সংখ্যা ২১ হাজার ২১৭। ভোট পড়েছে ৪৪.২০%।
হবিগঞ্জ পৌরসভায় মোট ভোটার ৪৭ হাজার ৮২০ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ৮৩৮ ও নারী ভোটার ২৩ হাজার ৯৮২ জন।