গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জের লক্ষীপাশায় দিনমজুর আব্দুস শহীদ (৪৫) এর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক হওয়া তিনজনকে হত্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী রেখা বেগম (৩৫) এর দায়ের করা হত্যা ও লাশ গুম করার চেষ্টা মামলায় আজ রবিবার (২৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১২টায় পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ২২ মার্চ রাতে নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ৬জনকে অভিযুক্ত করে এ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষীপাশা নিমাদল পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত মজিদ মিয়ার ছেলে সানুর মিয়া (৫০), মৃত মলাই মিয়ার ছেলে কাওছার আহমদ (৩৮), কামরান আহমদ (৩২), হাসান আহমদ (৩০),মৃত মাখন মিয়ার ছেলে আফজল আহমদ (৩০) ও মৃত তস্তই মিয়ার ছেলে মহসিন মিয়া (৩৩)কে আসামী করা হয়।ওই মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামী মজিদ মিয়ার ছেলে সানুর মিয়া, মৃত মাখন মিয়ার ছেলে আফজল আহমদ ও মৃত তস্তই মিয়ার ছেলে মহসিন মিয়াকে লাশ উদ্ধারের দিন রাতেই পুলিশ তাদের আটক করে। অন্যান্য আসামী পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদের আটক করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মামলার এজাহার ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়,ওই দিনমজুর ১২/১৩ বছর পূর্বে অনেক কষ্ট করে অভিযুক্তদের চাচাতো ভাই লন্ডন প্রবাসী মনসুর আহমদের কাছ থেকে ৮ডিসিমেল জায়গা ক্রয় করেন। ক্রয়কৃত জায়গাটি অভিযুক্তরা ক্রয় করার আগ থেকেই দেখাশুনা করে আসছিলেন। ক্রয়কৃত ওই জায়গার টাকা মনসুর আহমদের পরিশোধও করা হয়। নিহত আব্দুস শহীদ অভিযুক্তদের ওই জায়গার প্রয়োজনী কাগজপত্র দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। আর এ নিয়ে বিরোধ চলছিল উভয়ের মধ্যে। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশও বসে। গেল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরের দিন ১৯ মার্চ ২০১৯ইং সকাল ৯টায় মামলার ১নং অভিযুক্ত আসামী সানুর মিয়া নিহত আব্দুস শহীদকে তার বাড়ীতে যাওয়ার জন্য ডাকেন। পরে নিহত আব্দুস শহীদ ওই সময় সানুর বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দেশ্য বের হওয়ার পর আর বাড়ী ফিরেন নি। ওইদিন দুপুরের পর থেকে নিহতের মোবাইলে একাধিকবা রিংটোন বাজলেও পরে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির ৩দিন পর নিমাদল পশ্চিম পাড়া জনৈক সালেহ আহমদ চল¬ুর বাড়ীর পুকুরে ক্ষতবিক্ষত গলা কাটা গলিত লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ একদল পুলিশ নিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন এবং ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। নিহত আব্দুস শহীদ উপজেলার লক্ষীপাশা নিমাদল পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত দাই মুল¬ার ছেলে।
এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামীদের আটক করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ড চাওয়া হবে আদালতে।