পিন্টু দেবনাথ কমলগঞ্জ থেকে :
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাচন ভোট সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান ৪৯,১৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের মো: ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল ১৯,৪৫০ ভোট ও ওয়ার্কার্স মনোনীত প্রার্থী হাতুড়ী প্রতীকের আব্দুল আহাদ মিনার ভোট ৩৬৫ পান।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে টিউবওয়েল প্রতীকের রামভজন কৈরী ৩১,০১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতীকের মো: সিদ্দেক আলী ১৮,৭৭৯ ভোট, চশমা প্রতীকের শাব্বির এলাহী ৯,৭৬৮ ভোট ও মাইক প্রতীকের আব্দুল মুয়ীন ফারুক ৮,১৮২ ভোট পান।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীকের বিলকিস বেগম ৩৮,৭৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও বল প্রতীকের পারভীন আক্তার লিলি ২৮,৩৫৪ ভোট পান।
কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চাবাগানের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র ব্যতীত অন্যান্য ভোট কেন্দ্র সমূহে ভোটারের উপস্থিতি ছিল খুবই নগন্য। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও কেন্দ্র সমূহে দায়িত্বরত সংশ্লিষ্টরা বসে অলস সময় পার করেছেন। দু’একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট অনুষ্ঠিত হয।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি পৌরসভা ও নয়টি ইউনিয়ন নিয়ে সীমান্তবর্তী এ উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১,৭৯,৪শ’ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৯ হাজার ৫৬৪ ও মহিলা ৮৯ হাজার ৮৩৬ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ৭২টি ও ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪৫৬টি। তবে সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্র সমুহে ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। চা বাগানের কিছু কেন্দ্র সমূহে ভোটার উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক। উপজেলা সদর, পতনঊষার, শমসেরনগর, রহিমপুর ও মুন্সীবাজার ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়। বিকেলে কর্মী সমর্থকেরা বাড়ি বাড়ি থেকে কিছু ভোটার এনে ভোট প্রদান করেন। বেলা ১১টায় পতনঊষার মাইজগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আনারস ও নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এছাড়া রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌণে ১২টায় জাল ভোটের অভিযোগে প্রিসাইডিং অফিসারের সাথে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুর রহমানের সাথে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। ইসলামপুরের বাঘাছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬২টি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া পুরো উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।