পূর্ব শত্রুতার জের ধরে জেলা বারের এক আইনজীবীর বাসায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এডভোকেট কামাল উদ্দিন নামে ঐ আইনজীবীর বাসায় আব্দুস সালামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে স্টিলের দরজা, জানালা, এডজাস্ট ফ্যান ও স্টিলের দরজা অনুমানিক ৮০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। এডভোকেট কামাল উদ্দিনের সৈয়দ মুগনীস্থ তরঙ্গ ৪/৩৫ নং বাসার পাশের তরঙ্গ ৪/৩৩ বাসার মালিক আব্দুস সালাম কয়েক বছর আগে কামাল উদ্দিনের বাসার সামনের রাস্তা তার পৈতৃক সম্পত্তি দাবী করে গেইট বন্ধ কারার চেষ্টা করে। এলাকার লোকজন তা সালিশে সমাধান করেন। আব্দুস সালাম এডভোকেট কামালের নিকট ক্ষমাও চায়। কিছুদিন পূর্বে কামালে বাসার সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটি বসানোকে কেন্দ্র করে আব্দুস সালামের সাথে কাথা কাটাকাটি ও ঝগড়া বিবাদের জের ধরে এডভোকেট কামালের ভাগ্না তারা মিয়াকে মারধর করে। পরে আবারও সালিশের মাধ্যমে স্থানীয় কাউন্সিল ফরহাদ চৌধুরী শামীমের মধ্যস্থতায় সালাম তারা মিয়ার নিকট ক্ষমা চাইলে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। রবিবার (৩ ফেব্র“য়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কয়েকজন বখাটে ছেলে রাস্তার সামনে সালামের সাথে গোপনে দেখা করতে আসে। তারা মিয়া ও লায়েক আহমদ তা দেখে প্রতিবাদ করায় এক ঘন্টা পর রাত ৮টার দিকে আব্দুস সালাম সচীন, ইমাদ সালামের স্ত্রী ও মেয়েসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে আব্দুস সালাম এডভোকেট কামালের বাসার সামনে এসে তাকে গালিগালাজ করে এবং বাসা থেকে বের হওয়ার হুমকি দেয়। সাথে সাথে তিনি গেইটে তালা লাগিয়ে দেন। তখন আব্দুস সালামসহ সন্ত্রাসীরা কামাল উদ্দিনের বাসায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করলে ঘরের কাঁচের জানালা এডজাস্ট ফ্যান, স্টিলের দরজা, জানালা ও গেইট লোহার রড ও সাবল দিয়ে হামলা চালিয়ে অনুমানিক ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করে। এক পর্যায়ে গেইট ভেঙে ভেতরে চড়াও হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা হামলায় কামাল উদ্দিনের স্ত্রীসহ অন্যান্য সদস্যদের মারধর করে। এতে তার স্ত্রীসহ কয়েকজন আহত হন। এ সময় কামাল উদ্দিন ছাদে আশ্রয় নিয়ে এয়ারপোর্ট থানায় ফোন করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এই ঘটনায় এসএমপির এয়ারপোর্ট থানায় আব্দুছ ছালাম পিতা মৃত তোতা মিয়া, সচিন, পিতা আব্দুছ ছালাম, ইমাদ পিতা দলা মিয়া, শিউলি বেগম স্বামী আব্দুছ ছালাম, মাহিদা সুলতানা মিথি পিতা আব্দুছ ছালাম, সর্বসাং ৬নং ওয়ার্ডের তরঙ্গ ৪/৩৩ সৈয়দ মুগনী সিলেট, এই ৫ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনকে আসামী করে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) এসএম শাহাদত হোসেন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সোমবার সিলেট জেলা বারের সভাপতি জামিলুল হক জামিল, সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আহমদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যগণ এডভোকেট কামাল উদ্দিনের বাসা পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তারা দ্রুত হামলাকারিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবিও জানিয়েছেন। (খবর সংবাদদাতার)