কথাকলি সিলেটের সাবেক সভাপতি ও সিলেটের নাট্যাঙ্গনে অর্ধশতাব্দি কাজ করা নাট্যজন প্রয়াত জহির খান লায়েক স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কথাকলি সিলেটের আয়োজনে শুক্রবার বিকাল ৪টায় রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর শামিমা চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম লিটনের পরিচালনায় বক্তারা বলেন- জহির খান লায়েক শুধু নাট্যাঙ্গনের জড়িত ছিলেন না। তার বিচরণ ছিল রাজনীতি, ক্রীড়াঙ্গন, সমাজসেবা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। নাট্যাঙ্গনে অর্ধশতাব্দি কাজ করা সদা হাস্যজ্জ্বল এই নাট্যজন স্কুলজীবনে ষাটের দশকে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন। এরপর থেকে সিলেটে প্রতিটি নাট্যান্দোলনে তার সরব উপস্থিতি ছিল। একজন সংস্কৃতিপ্রেমী এই ব্যক্তি সিলেটের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অমর হয়ে থাকবেন। শোকসভায় জহির খান লায়েকের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
এ সময় স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, প্রবীণ নাট্যজন মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন লস্কর ময়না, মদন মোহন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার কামরুল আমিন, আবৃত্তি শিল্পী মোকাদ্দেস বাবুল, নাট্যজন বাবুল আহমদ, নজরুল ইসলাম বাসন, অধ্যাপিকা রানা ফেরদৌস, নাট্যজন নিরঞ্জন দে যাদু, আব্দুল গফুর স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল জিয়াউর রহমান, কথাকলি সিলেটের শামসুল বাসিত শেরো, জহির খান লায়েকের ছোট ভাই জাহিদ খান সায়েক প্রমুখ।
শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক সিলেট মিরর’র সম্পাদক আহমদ নুর, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি শামসুল আলম সেলিম, সিলেটের সাধারণ সম্পাদক গৌতম চক্রবর্তী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তসহ সিলেটের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা। বিজ্ঞপ্তি