বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের মত দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে আরো গতিশীল করতে হবে। গ্রামীণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে অন্যতম উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এজন্য শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। দেশের নারী সমাজ শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে যে আগ্রহ প্রকাশ করছেন, ব্যাংকারদেরকে সেই জন্য সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। নারী উদ্যোক্তারা যাতে সহজে, প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই ঋণ নিতে পারেন সেব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথভাবে সহায়তা করবে।
এছাড়া ফজলে কবির আরো বলেন, এসএমই খাতে অর্থায়নে যতবেশি অগ্রগতি হবে, নারীরা ততবেশি এগিয়ে যাবে। এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রণিত নীতিমালাকে বাস্তবায়ন করার জন্য ব্যাংকারদের প্রতি আহবান জানান ফজলে কবির।
বাংলাদেশ ব্যাংক, সিলেট-এর এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রাম্স ডিপার্টমেন্ট-এর উদ্যোগে নারী উদ্যোক্তা ও ব্যাংকারদের সাথে এসএমই অর্থায়ন শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশিক্ষণ হলে আয়োজিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক, সিলেট-এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ তারিকুজ্জামান, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা-এর নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলম।
বাংলাদেশ ব্যাংক, সিলেট-এর উপমহাব্যবস্থাপক শামীমা নার্গিসের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জনতা ব্যাংক লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান, ইসলামী ব্যাংকের এভিপি সৈয়দ জিল্লুর রহমান, ডাচ বাংলা ব্যাংকের জ্যোতিলাল গোস্বামী, উদ্যোক্তাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স-এর সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, বাংলাদেশ উইমেন্স চেম্বার অব কমার্স এর সম্পাদক ফরিদা আলম, তৃণমূল নারী সংগঠনের সমন্বয়ক অনিতা দাশ গুপ্ত, নারী জাগরণের সভাপতি সুষমা সুলতানা রুহী। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ব্যাংক মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আবুল কাশেম। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের এসএমই প্রোগ্রামের কর্মকর্তাসহ সিলেটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি