সংবাদ সম্মেলনে যুবলীগ নেতা জাকির ॥ কাউন্সিলর সেলিমের কবল থেকে নেতাকর্মীদের রক্ষার আহবান

61
সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন মহানগর যুবলীগের সদস্য জাকিরুল আলম জাকির।

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট নগরীর ২২ নং ওয়ার্ডেও কাউন্সিলর, আওয়ামলীগ নেতা এডভোকেট সালেহ আহমদ সেলিমের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তুলেছেন উপশহর মহানগর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য, মহানগর যুবলীগের সদস্য জাকিরুল আলম জাকির। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার অন্তর্গত ৪নং কুচাই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এই যুবনেতা বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপশহরে সন্ত্রাসের জন্য কাউন্সিলর সালেহ আহমদ সেলিমকে দায়ী করে বলেছেন শুধু সন্ত্রাস চাদাঁবাজি নয়, তাঁর অবাধ্য হলেই নিজ দলের কর্মীদেরকের মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে বিপর্যস্ত করে তুলেন। যে নির্যাতনের শিকার তিনিও।
জাকির তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মামলার তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে শাহপরান (রহ.) থানায় মামলা নং-৩ রুজু করেন উপশহরের ব্যবসায়ী মার্জিয়া বেগম রুমা (৪২)। কথিত ঘটনায় উপশহরের তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান (ওয়ান টু হান্ড্রেড) ভাংচুর, লুটপাট ও চাঁদাবাজি ঘটনায় এই মামলা দায়ের করেন রুমা। এ মামলায় আসামী করা হয় আমি সহ দলের ১৬ জন নেতাকর্মীকে। এজহারের বর্ণিত ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা ছিলও নেইও।
শুধু এখানেই শেষ নয় উপশহরে এবিসি পয়েন্টে কথিত হত্যার উদ্দেশ্যে মারামারি ঘটনায় ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর মামলা (নং-১৪) দায়ের করে জনৈক রায়হান আহমদ (২২)। সে সুনামগঞ্জ দিরাইয়ের বাসিন্দা। এই মামলায় আমাকে প্রধান আসামী করে ১০জনের মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার আসামীদের তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে তেররতনের জাহেদ। সম্প্রতি সালেহ আহমদ সেলিম বলয়ের অনুসারী রাহাতের ছুরিকাঘাতে সে খুন হয়। সম্প্রতি রায়হান আহমদ নিজেই হঠাৎ করে আমাকে ফোন করে কথোপকথনের এক পর্যায়ে জানায়, আমার বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলার ব্যাপারে সে কিছুই জানে না। এছাড়া তেররতন বাজারে কথিত প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র ১৩ মার্চ ২০১৮ইং সশস্ত্র সজ্জিত হয়ে গতিরোধ ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও জখম, হুকুমের অপরাধে মামলা নং- ১২ দায়ের করা হয় শাহপরান (রহ.) থানায়। এই মামলার বাদি তেররতনের মালিক মিয়ার কলোনীর বাসিন্দা মিন্নত (২৮)। এই মামলায় আমাকে প্রধান করে ১৩জনকে আসামী করা হয়। যদিও এই মামলার ব্যাপারে আমার কোন ধরনের সংশ্লিষ্টতা ছিল না। কিন্তু সালেহ আহমদ সেলিমের রোষানলের পড়ে তার নেপথ্য ভূমিকায় এই মামলায়ও আসামী আমি। মামলার বাদি নিজেই স্বীকার করেছে সে নিজেই জানে না কিভাবে অভিযোগ লেখা হয়, কাদের আসামী দেয়া হচ্ছে।
যুবলীগ নেতা জাকির এ সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধ এবং মিথ্যা মামলায় হয়রানী বন্ধের মাধ্যমে উপশহরে শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। সেই সঙ্গে কাউন্সিলর সেলিমের কবল থেকে যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের রক্ষার আহবান জানান। এ সময় তার সঙ্গে যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।