দ্বিতীয় দিনের মতো সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গ্রাহকদের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিল বোর্ড বাবত বকেয়া বিল আদায়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকায় দিনভর সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রায় ৮ লাখ টাকা বকেয়া বিল আদায় করা হয়। এনিয়ে গত দু’দিনে প্রায় ১৮ লাখ টাকা বকেয়া বিল আদায় করা হয়েছে।
সিসিক জানায়, দীর্ঘ দিন থেকে বিল খেলাপিদের বিরুদ্ধে বার বার নোটিশ প্রদান করা সত্বেও বিল পরিশোধ না করায় বকেয়া বিল আদায়ে অভিযান শুরু করে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। বকেয়া বিল আদায়ে গঠন করা হয় সিসিকের তিনটি টিম। বিল আদায় না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি জানান, নগরীর ২৭ টি ওয়ার্ডের বেশ কিছু এলাকার সম্মানিত নাগরীকদের কাছে পাহাড়সম প্রায় ১০০কোটি টাকা বকেয়া বিল আদায় না হওয়ায় সিসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা যাচ্ছেনা। তিনি জানান, সিটি কর্পোরেশনের মূল আয়ের খাত হচ্ছে হোল্ডিং ট্যাক্স। আর এই খাতে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৭কোটি টাকা, পানির বিলের বকেয়ার পরিমাণ ১২ কোটি টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবত বকেয়ার পরিমাণ ২০ কোটি টাকা এবং বিল বোর্ড বাবত বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি টাকা রয়েছে। এমতাবস্থায় বাধ্য হয়ে অভিযানে নামতে হয়েছে বলেও জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বিজ্ঞপ্তি