সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
“আমি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির পক্ষে হারিকেন মার্কায় ভোট চাই। পোলিং এজেন্ট, ব্যানার বা পোস্টার দেখে নয় ব্যালটের ১নং প্রতীক হারিকেন দেখে ভোট দিন সীল মারুন। একজন যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নিবেদিত সাংবাদিক হিসেবে আপনাদের সেবক হতে চাই। সততা সাহসিকতা আর আত্মবিশ্বাসকে সম্বল করে সংসদ নির্বাচনে আমি প্রার্থী হয়েছি। নির্বাচনী কোন বাজেট না থাকায় আমি এলাকায় পোস্টার ব্যানার এমনকি পোলিং এজেন্ট দিতে পারিনি সত্য। তবে সম্মানিত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট ভিক্ষা প্রার্থনা করতে দ্বিধাবোধ করিনি। আপনারা প্রচার প্রচারণার ভিত্তিতে নয় গুণ-মান, সততা, সাহসিকতা ও আন্তরিকতার ভিত্তিতে প্রতিনিধি নির্বাচিত করুন”। নির্বাচনী প্রচারণার উনিশতম দিনে শুক্রবার সুনামগঞ্জ-৪ নির্বাচনী এলাকার পৌর সদরে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় হারিকেন প্রতীকে (জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ) সমন্বয়ে গঠিত গণঐক্য এর প্রার্থী যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সাংবাদিক ও শিল্পী আল-হেলাল একথা বলেন। গণসংযোগকালে এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, মসজিদের মুসল্লীয়ান, বাজারের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের সাথে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি হারিকেন প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। এর পরদিন শনিবার জেলা রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদের সাথে সাক্ষাৎ করে আল-হেলাল বলেন, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচনে একটি মহল হামলা মামলা সন্ত্রাস ও প্রতিপক্ষকে অন্যায়ভাবে আটক করানোসহ কেন্দ্র দখল, ব্যালট ক্যু ও টেবিল কাস্টিং এর অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। এ সময় আল-হেলালের সাথে ছিলেন গীতিকার নির্মল কর জনি, কেটিভি প্রতিনিধি মাওলানা মোঃ সফিউল আলম, পূর্ব সুলতানপুর নিবাসী আব্দুল হামিদ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জাভেদ মিয়া ও আরিফ হোসেনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।