রাতেই ১৫০ আসনে সিল মারার অভিযোগ বিএনপির

56

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেড়শতাধিক আসনে আগের রাতেই সিল মেরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ব্যালটবাক্স ভর্তি করেছে বলে অভিযোগ বিএনপির। ২২১ আসনে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার কথাও বলেছে দলটি।
ভোট চলার মধ্যে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে এই অভিযোগ করে বিএনপি। দলটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান চিঠি নিয়ে এই অভিযোগ জানান। পরে দলের পক্ষ থেকে ব্রিফিং করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নিবাচন সুষ্ঠু হয় না। এবারের নিবাচন সেটাই প্রমাণ করল। ২২১টি আসনের প্রতিটি কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। অনেক জায়গাতে পোলিং এজেন্টকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।’
ইসিকে দেওয়া নজরুল ইসলাম খানের লিখিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্রে ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। অনেক ভোট কেন্দ্রে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করতে দেওয়া হচ্ছে না। এজেন্টরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারছে না, নৌকা প্রতীকের এজেন্টরা তাদের (বিএনপির এজেন্ট) নিকট থেকে ব্যালট পেপার জোর করে কেড়ে নিচ্ছে। নৌকা প্রতীকে সিল মারছে আওয়ামী লীগের এজেন্টরা। ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটকেন্দ্রে থেকে বের করে দিচ্ছে। কোনো কোনো ভোট কেন্দ্রে শারীরিক নির্যযাতন করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন বা পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না।’
‘এই তামাশার কোন প্রয়োজন ছিল না’
আলাল বলেন, ‘আমরা যে কথাটি বার বার বলছিলাম, যেটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, ভোটারদের ভয় দেখিয়ে কেন্দ্র থেকে দূরে রাখা হবে, সেই চিত্রই আমরা দেখছি।’
‘ভোটারদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ভোটারদের ঢুকলেই বলা হচ্ছে আমাদের সমানে থেকে নৌকায় ভোট দিন অথবা তাদের সামনে সিল মারা হচ্ছে। এটি করা হচ্ছে বিশেষ করে অতি উৎসাহিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায়।’
সকালে ভোটের শুরুতে তাদের প্রত্যাশা থাকলেও সেই প্রত্যাশাকে পদাঘাত করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন আলাল। বলেন, ‘এই অবস্থা দেশের মানুষকে হতাশ, বিষন্ন করেছে। নির্বাচনের নামে এই তামাশার কোন প্রয়োজন ছিল না বলে এখন আমাদের মনে হচ্ছে। রাষ্ট্রপতি একটা গেজেট দিলেই হতো যে নৌকা ২৯৯ আসন বা দুইশো সাড়ে নিরানব্বই আসন পেয়ে গেছে। এমনটা করলেও অবার হওয়ার কিছু থাকত না।’