স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর রাস্তাঘাট ফাঁকা। মোটরসাইকেলের হর্ণ নেই, এলোমেলো পার্কিংয়ে রাস্তা-ফুটাপাত দখল করে আড্ডাবাজিও নেই। কিছু দোকানপাট খোলা থাকলেও তেমন লোকসমাগম নেই। নেই মিছিল বা শ্লোগানের উচ্ছাসও। কিছু কিছু হোটেল রেস্তোরাঁ খোলা থাকলেও কাস্টমার নেই। যে দু’একজন আছেন, তারা মশগুল আলোচনায়। নির্বাচন নিয়ে আলোচনা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নগরী ছেড়ে গেছেন গ্রামের ভোটাররা। শহরে যারা আছেন তারা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, বিশ্লেষণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করছেন। কোথায় কে পাশ করবেন, নির্বাচন কেমন হবে এসব বিষয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।
প্রায় ফাঁকা নগরী মোটামুটি এখন নিরাপত্তার চাদরে মোড়া। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে র্যাব-পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। একটু পরপরই দ্রুত চলে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর গাড়ি। দুপুরের পর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তারা সরঞ্জামসহ যাত্রা শুরু করেছেন। সন্ধ্যার আগেই তাদের নিজ নিজ কেন্দ্রে পৌঁছে যাওয়ার কথা। নগরীর ভেতরে অবস্থানরত কেন্দ্রগুলোতে দায়িত্বশীলরা অবস্থান নিয়েছেন। আজ রবিবার ভোট উৎসব। ১০ বছর পর আবারও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফিরেছে বিএনপি। নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে তারা সকরারি দল আওয়ামী লীগকে মোকাবেলা করছে। নগরবাসীর মধ্যেও অনেক উৎসবের আমেজ বিরাজ করলেও আছে গ্রেফতারের আতংক। তাছাড়া নির্বাচনের দিন এমন পরিবেশ বজায় থাকবে কি-না, সচেতনরা তেমন আলোচনাও করছেন। শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত নগরীর কোথাও তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।