মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নিজস্ব জমিতে সরকারের অর্থায়নে চা শ্রমিক সন্তানদের জন্য নির্মিত হচ্ছে ১০তলা বিশিষ্ট বহুবিধ সুবিধাসম্পন্ন ছাত্রাবাস।
এ ছাত্রাবাসে শুধুমাত্র চা বাগান শ্রমিকদের পরিবারের গরীব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা বিনামূল্যে বা স্বল্পব্যয়ে আবাসন সুবিধা পাবে। ৩০০ আসন বিশিষ্ট নির্মিতব্য এ ছাত্রাবাসে ১৫০টি আসন ছাত্রদের জন্য বাকি ১৫০টি আসন ছাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।
এ ব্যাপারে সরকার ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের দ্বিপাক্ষিক চুক্তি বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে শ্রীমঙ্গলস্থ চা শিল্প শ্রম কল্যাণ বিভাগের হলরুমে সম্পন্ন হয়েছে।
সরকারের পক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অতিরিক্ত সচিব শিবনাথ রায় ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রম অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক গিয়াস উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে সভাপতি মাখন লাল কর্মকার, বাংলাদেশ টি এস্টেট স্টাফ এসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব রেজা, রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক আহ্বায়ক বিজয় বুনার্জী, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইসমাইল মাহমুদ, চা শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক পরেশ কালিন্দী, বালিশিরা ভ্যালী কমিটির সভাপতি বিজয় হাজরা, সিলেট ভ্যালী সভাপতি রাজু গোয়ালা, মন-ধলাই ভ্যালী সম্পাদক নির্মল দাস পাইনকাসহ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির ৩৪ জন সদস্য।
চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যাপারে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন, ‘চা শ্রমিক ছাত্রছাত্রীদের জন্য এটি বর্তমান চা শ্রমিকবান্ধব সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি নির্মিত হবার পর শ্রমিক সন্তানদের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন হবে। যুগান্তকারী এ পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সকল নেতৃবৃন্দ ও চা শিল্পে নিয়োজিত সকল শ্রমিকদের পক্ষ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’