সেলিম হাসান কাওছার গোলাপগঞ্জ থেকে :
গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জে এসিল্যান্ডের উপর হামলার ঘটনায় ৩০৬জনকে আসামী করে মামলা করেছে পুলিশ। ওই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় সিলেট-৬ আসনের বিএনপির ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ফয়ছল আহমদ চৌধুরীকে। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) ওই মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গোলাপগঞ্জের হেতিমগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কমিশনার (ভূমি) সুমন্ত ব্যানার্জীর উপর হামলার ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এএসআই রুকনুজ্জামান রুকন বাদী হয়ে ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামী করে মামলা করেন। এজাহার নামীয় আসামীরা হলেন, বিয়ানীবাজার থানার আলীনগর গ্রামের মুহিত চৌধুরীর পুত্র ফয়ছল আহমদ চৌধুরী (৪৫), গোলাপগঞ্জ রণকেলী দীঘিরপার গ্রামের মৃত উবই চৌধুরীর পুত্র গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহিন (৪৮), গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ঘোগারকুল গ্রামের মৃত হাজী আব্দার আলীর পুত্র আলেকুজ্জামান আলেক (৪৬), ভাদেশ^র ইউপির চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দক্ষিণ ভাগের মৃত ছমির আলীর পুত্র ও জিলাল আহমদ (৪৫), লক্ষণাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফুলসাইন্দ গ্রামের ছমরুল হকের পুত্র নছিরুল হক শাহিন (৪৬), গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি ও ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত নছিম আলীর পুত্র মশিকুর রহমান মহি (৫০), উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ঢাকাদক্ষিণ ইউপির উখড়কান্দি গ্রামের মৃত মইব আলীর পুত্র মনিরুজ্জামান উজ্জল (৪০), উত্তর রায়গড় গ্রামের ওয়ারিছ আলীর পুত্র সাদেখ আহমদ (৩২),একই গ্রামের মৃত রজব আলীর পুত্র জাহেদ আহমদ (৩০), বারোকোর্ট গ্রামের মৃত ইছমেদ আলীর পুত্র শেখ মখবিল আলী (৪৫), লক্ষণাবন্দ উত্তরগাঁও গ্রামের হাজী শরাফত আলীর পুত্র কামরুজ্জামান দ্বারা (৩৫),রাম্পার মৃত আজির উদ্দিনের পুত্র তারেক আহমদ (৩৫), দাঁড়িপাতন গ্রামের মৃত মনাই মিয়ার পুত্র মৌর মিয়া (৪০),একই গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র আব্দুল আজিজ মুন্না (২৮), বাঘা গোলাপনগর পশ্চিমগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস শহিদের পুত্র আব্দুল কাদির সেলিম (৪৮),একই গ্রামের মৃত মুক্তার হোসেনর পুত্র বদরুল আলম ওরফে আজমল হোসেন (৩৫),বাঘা ইসলামপুরের মৃত হাজী আব্দুল করিমের পুত্র মহিবুর রহমান (৫৫),বাঘা উত্তর গোলাপনগর গ্রামের মৃত মাহবুব উদ্দিনের পুত্র মোশারফ হোসেন (৪২), গোলাপগঞ্জ পৌরসভার নুরুপাড়া গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম (৪০),ফুলবাড়ী ইউপির কিছমত মাইজভাগ গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র মামুনুর রশিদ মামুন (৪৫),একই গ্রামের মৃত সাজিদ আলীর পুত্র সানাই আহমদ ওরফে জালালি (৩০),মৃত লাল মিয়ার পুত্র সাহেদ আহমদ (৪০), ফুলবাড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও হাজীপুর গ্রামের এডভোকেট মামুন আহমদ রিপন (৪০), কায়স্থগ্রাম নাশাগঞ্জ গ্রামের আজির উদ্দিনের পুত্র এম.এ সামাদ (২৮), কায়স্থগ্রামের গোলাম আজম শায়েস্তা (৫০), হাজীপুর ঘনশাম গ্রামের অলিউর রহমানের পুত্র শহিদ আহমদ (৩০), ফুলবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের পুত্র নুরুল আলম হোসেন (৩৫), কায়স্থগ্রাম ইজরা পাড়ার আব্দুর রশিদের পুত্র কলিম আহমদ (২৫), মোল্লাগ্রাম মালিপাড়া গ্রামের আজমান মিয়ার পুত্র রেহান আহমদ রেহান (২৮), কায়স্থগ্রাম নাশাগঞ্জ গ্রামের মৃত তোয়াহিদ আলীর পুত্র ফখরুল ইসলাম (৪৫), ধারাবহর গ্রামের রফিক উদ্দিনের পুত্র জুয়েল আহমদ (২৮), মস্কাপুর গ্রামের মাহিন রহমান (২৫), হাজীপুর ঘনশাম গ্রামের আলাতাফুর রহমানের পুত্র সামাদ আহমদ অপু (২৮), বাঘা মজিদপুর গ্রামের সমছু মিয়ার পুত্র খুকন আহমদ (৩৫), কায়স্থগ্রাম ফিসারি বাড়ীর মইব আলীর পুত্র মনছুর আহমদ (২৫), মস্কাপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার পুত্র শরিফ আহমদ (৩০), বরায়া উত্তর ভাগের মৃত খলকু মিয়ার পুত্র সাজু মিয়া (২৮), বৈটিকর গ্রামের ইউনুছ আলীর পুত্র শাহনুর আহমদ (৩৮),ফুলসাইন্দ গ্রামের মৃত ইজ্জাদ আলীর পুত্র ইকবাল হোসেন (৫০), রফিপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত রইছ আলীর পুত্র আব্দুর রহমান (২৮), ধারবহর গ্রামের ধারবহর গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র মুমিন আহমদ (২৫), পূর্ব-ফুলসাইন্দ গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র জুবেল আহমদ (২৮), ফুলবাড়ী পূর্বপাড়া গ্রামের হারুন চৌধুরীর পুত্র মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী (৪০), দক্ষিণ কানিশাইল গ্রামের মৃত ইউছুফ আলীর পুত্র সালমান আহমদ (৪০), হেতিমগঞ্জ গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর পুত্র মুহিব মিয়া (৫০),মোল্লাগ্রাম গ্রামের শাহীন আহমদ (৩০) ও মামুনুর রশিদ মামুন (৩২), মোল্লাম দক্ষিণপাড়া গ্রামের রায়হান আহমদ (২৫), হেতিমগঞ্জ গ্রামের মোক্তার মিয়া (৩৫), পাঁচমাইল গ্রামের আউয়াল (৩৫), হেতিমগঞ্জ বাজার সভাপতি বেলাল আহমদ বেলাল (৩৮), হেতিমগঞ্জ বাজার সেক্রেটারী সেলিম আহমদ বেলাল (৩৮), বহরগ্রাম গ্রামের এবাদুর রহমান এবাদ, কালিজুড়ী গ্রামের ফখরুল ইসলাম মেম্বার, ফুলবাড়ী গ্রামের মকছুদ মিয়া, হাজীপুর লরিফর গ্রামের শিপার আহমদসহ অজ্ঞাতমা আরো ২০০/২০১৫জন। ওই মামলা থেকে জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট-৬ আসনের বিএনপির ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ফয়ছল আহমদ চৌধুরী।