স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার এলাকার মোহাম্মদপুরে প্রবাসীর মালিকানাধীন জমিতে নির্মাণাধীন ভবনের নির্মাণ কাজে স্থানীয় একটি চক্রের বিরুদ্ধে বাধা ও বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। মোহাম্মদপুরের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মো. আলীর ছেলে ফখরুজ্জামানের ওই জমিতে ভবন নির্মানের দায়িত্বে রয়েছেন তারই মামাতো ভাই একই এলাকার মো. দুদু মিয়ার ছেলে মো. জাবেদ মিয়া। সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান ও চাদা দাবির অভিযোগ করেন মো. জাবেদ মিয়া।
তিনি জানান, প্রবাসী ফখরুজ্জামান ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোগলাবাজার থানা এলাকার তিরাশীগাঁও মৌজায় ১০৬৪, ১০৬৩, ১০৬২, ১০৬১ দাগের জায়গা, যার খতিয়ান নম্বর এস. এ : ৭৫ এবং জে. এল. নম্বর : ১৭৯ খরিদ করে মালিক হন। জায়গাটি ক্রয় করার পর থেকে তিনি ভোগদখল করে আসছেন। ফরুজ্জামান যুক্তরাজ্যে থাকার কারণে এই জায়গার দেখাশুনার দায়িত্ব জাবেদ মিয়াকে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।
জাবেদ মিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন থেকে ওই জমি দেখা-শোনার কাজ করে আসছি। সম্প্রতি ফখরুজ্জামানের ওই জমিতে ৩ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ভবনের পিলার ও নিচের পাইলিং এবং ব্যাজম্যান্টের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এমন পরিস্থিতিতি একই থানার তিরাশীগাঁও গ্রামের দনজা আলী ওরফে নজব আলীর ছেলে রইছ আলী, রইছ আলীর ছেলে লিলু মিয়া, দুলাল মিয়া, বেলাল মিয়া, হেলাল মিয়া, তাদের প্রতিবেশী ইছাক আলীর ছেলে ফরিদ মিয়া, জিলু মিয়া, দনজা আলী ওরফে নজব আলীর ছেলে সিরাজ মিয়া, একই এলাকার মৃত দুদু মিয়ার ছেলে মুক্তার মিয়া, একই এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে ইউপি সদস্য দিলওয়ারসহ অজ্ঞাত নামা ১০/১৫ জন ব্যক্তি নির্মাণাধীন ভবনের চলমান কাজে বাধা প্রদান করে বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করে।
এই চক্র প্রথমে গত ১৪ এপ্রিল এবং পরবর্তীতে সঙ্গবদ্ধভাবে ১৫ এপ্রিল বাধা প্রদান করে বলে জানান মো. জাবেদ মিয়া। তিনি বলেন, এছাড়াও তারা বিভিন্ন সময় একাধিকবার কাজে বাধা প্রদান করে যার সংরক্ষিত ভিডিও চিত্র আমাদের কাছে আছে। কাজে বাধা প্রদানকালে ওই চক্রের কাছে দেশীয় অস্ত্র ছিল।
মো. জাবেদ মিয়া বলেন গত ২০ মার্চ দাউদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে একটি সালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গত ৮ এপ্রিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত ৩ পাতার সম্বলিত একটি রায় প্রবাসী ফখরুজ্জামানের পক্ষে প্রদান করেন। রায় পাওয়ার পর ওই ভূমিতে কাজ শুরু করা হয়। কাজ চলমান অবস্থায় রইছ আলীর নির্দেশে তার ছেলেরা সন্ত্রাসীদের নিয়ে ফখরুজ্জামানের ভূমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে। তারা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে ওই জায়গায় প্রবেশ করে কাজে বাধা প্রদান করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা হুমকি দেয়, ‘কোনো শ্রমিক যদি এখানে কাজ করে তবে তাঁদেরকে হত্যা করা হবে। দেশীয় অস্ত্রসহ এমন হুমকি শুনে চলমান কাজ ফেলে ৩০ জন শ্রমিক চলে যায়। এতে অনেক মালামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এছাড়াও তারা জমিতে থাকা মালামাল নিয়ে যাবে এবং জাবেদ মিয়াকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিলে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে তাকে নিরাপত্তা দেয় বলেও উল্ল্যেখ করেন সংবাদ সম্মেলনে। তিনি বলেন, তাদের অব্যাহত প্রাণনাশের হুমকির কারণে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যার কারণে মোগলাবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও দায়ের করেছি। এ ব্যাপারে জাবেদ মিয়া পুলিশ, র্যাবসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।