মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার-৩, সদর-রাজনগর নির্বাচনী আসনে বিএনপি মনোনিত প্রার্থী এম নাসের রহমান নেতাকর্মীদের গ্রেফতারী অভিযান ও হয়রানীমূলক কর্মকান্ডে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, বিনা কারনে পুলিশের গ্রেফতারি অভিযান ও হয়রানিমূলক কর্মকান্ড বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর অনেক অভিযোগ পত্র দাখিল করি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা কোন নিবারণমূলক পদক্ষেপ তো নেনই নাই, উপরন্ত এই ধরনের পুলিশী হয়রানী অভিযানের মাত্রা দিন দিন বেড়ে গতকাল (রবিবার) পর্যন্ত উদ্ধেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। বিশেষ করে,মৌলভীবাজার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক তাপস, অলি, সাব্বির মিয়া নামে তিন দারোগা বেশি হয়রানী করছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে তাদের বিরুদ্ধে তিনি লিখিত অভিযোগ রির্টানিং কর্মকর্তার দাখিল করবেন।
তিনি বলেন, গত ১০ দিনে আমার নির্বাচনী এলাকার শতাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করেছে। বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. অলিউর রহমানের বাসায় পুলিশী অভিযানের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, গতকাল রাতে এই নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে না পেয়ে বাসার জিনিসপত্র তছনছ ও ভাঙচুর করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অলিউর রহমান বাসার দেয়াল টপকিয়ে পড়ে গিয়ে তিনি আহত হন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতা অলিউর রহমান গত ৬ মাস লন্ডনে অবস্থানের পর মাত্র এক সপ্তাহে আগে বাংলাদেশে ফেরত আসেন। অনুরূপভাবে বর্তমান কাউন্সিল স্বাগত কিশোর দাস ও বায়েস আহমদের বাসায় ডিবি পুলিশের বিরাট দল হানা দেয়। সৌভাগ্যক্রমে তারা নিরাপদ স্থানে সরে পড়ে।
এইরূপ বেআইনি ও বিনা কারণে গ্রেফতারী অভিযান জনমনে এক আতংক সৃষ্টি করেছে যা ন্যুনতম সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করেছে বলে তিনি মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র ফয়জুল করিম ময়ূন,সাবেক সংসদ সদস্য বেগম খালেদা রব্বানী, জেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল মুকিত, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভিপি মিজানুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.রাশেদুল ইসলাম (সদর সার্কেল) বলেন, আমি এই মুহূর্তে একটি মিটিংয়ে আছি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি পরে কথা বলি।