কাজিরবাজার ডেস্ক :
নির্বাচনে পরিকল্পিত নাশকতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এখন মোবাইল ফোনের ওপর। মোবাইল ফোনের কথোপকথনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে ইতোমধ্যেই আনা হয়েছে উচ্চ প্রযুক্তিসম্পন্ন নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি। তাছাড়া মোবাইল ফোনের সিমকার্ড বিক্রি ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ওপর বিশেষ নজরদারি শুরু হয়েছে। মোবাইল ফোনের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা গেলে প্রায় সব ধরনের নাশকতা এড়ানো সম্ভব বলে একমত হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। কারণ অধিকাংশ অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে কোন না কোনভাবে মোবাইল ফোনের সংশ্লিষ্টতা থাকে। এজন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া সীমকার্ড বিক্রি না করতে আবারও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালাতে ব্যয় হওয়া টাকার অধিকাংশই হস্তান্তর হয় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে এ্যাকাউন্ট খুলে এসব অর্থ লেনদেন হয়। লেনদেন হওয়া টাকার উৎস ও ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। সার্বিক পর্যালোচনায় এবারের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই মোবাইল ফোনের কর্মকান্ডকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পুলিশ সদর দফতরের একটি উচ্চ পর্যায়ের সূত্রে আরও জানা গেছে, নির্বাচনে নাশকতা এড়াতে বহু বিষয়ের ওপর রীতিমতো গবেষণা চলছে। এক্ষেত্রে অপরাধ বিশেষজ্ঞদেরও যুক্ত করা হয়েছে। সার্বিক পর্যালোচনা ও গবেষণায় দেখা গেছে, নির্বাচনে যে ধরনের অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে তা প্রযুক্তিগত। প্রায় শতভাগ অপরাধের সঙ্গেই কোন না কোনভাবে মোবাইল ফোনের সম্পৃক্ততা থাকে। এজন্য এবারের নির্বাচনে পরিকল্পিত নাশকতা এড়াতে মোবাইল ফোনকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারণ যেসব মোবাইল ফোন দিয়ে নানা ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হয় বা নাশকতা চালানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়, তার সবই বেনামে রেজিস্ট্রেশন করা। এজন্য বেনামে মোবাইল ফোনের সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন যাতে না হয়, এজন্য বিটিআরসি ও মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে আগাম ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
আর নাশকতায় ব্যয় হওয়া অর্থের অধিকাংশই লেনদেন হয় বেনামে রেজিস্ট্রেশন করা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। ইতোমধ্যেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠান নিয়মকানুন না মানায় অন্তত ১০ হাজারের বেশি এজেন্সি বাতিল করেছে।