জেড এম শামসুল :
আজ ৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত গেরিলারা সুসংগঠিত হয়ে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনে হামলা চালাতে থাকে। প্রতিদিন দেশের প্রতিটি অঞ্চলে যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সাফল্যের খবর আসতে থাকে। মুক্তিবাহিনীর হামলায় হানাদার বাহিনী সীমান্ত ও দ্বীপাঞ্চাল থেকে। পালাতে থাকে। এই দিন থেকে মুজিবনগর সরকারের অধীনে সিলেটের জকিগঞ্জ ও ছাতক, হবিগঞ্জের চা বাগান এলাকা এবং কুড়িগ্রাম, লালনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় সহ অনেক স্থান মুজিবনগর সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। মুক্তিবাহিনী ও যৌথ বাহিনী মরণপণ যুদ্ধে দেশের আকাশ বাতাস গোলা বারুতের বিকট শব্দে ও গন্ধে জনজীবন বিপর্যয়স্ত হয়ে পড়ে। এদিন যৌথ বাহিনী স্থল, জল ও আকাশে এক সাথে হামলার চালালে হানাদার বাহিনী বাঙালিদের উপর পাগলা কুকুরের মত ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তারা সেই সাথে সরকারী ও বেসরকারী সম্পদ বিনষ্ট সহ বাঙালি নিধন শুরু করে। লড়াইয়ে চীন ও যুক্তরাজ্য এবং মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশ বাঙালির স্বাধীনতার পক্ষে গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠে। এছাড়া ভারত ও রাশিয়া বাঙালি জাতির স্বাধীনতা যুদ্ধে সর্বপ্রকার সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ফলে চূড়ান্ত বিজয়ের পথে বাঙালি সূর্য সেনারা এগিয়ে চলে।