জেড এম শামসুল :
আজ ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের এই দিনে প্রবাসী মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমদ এক যুক্ত আবেদনের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি দানের দাবি জানিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে একটি পত্র প্রেরণ করেন। এ পত্রটির প্রেক্ষিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি পূর্ণ স্বীকৃতি প্রদানে বিশেষ বিবেচনা সহকারে ভারতীয় পার্লামেন্টে বিবৃতি প্রদান সহ বাঙালি জাতির স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। এদিন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অব্যাহত হামলার বিরুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনী বিমান হামলা চালায়। হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করতে যুদ্ধ তীব্রতর হতে থাকে। মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর এলোপাতাড়ী হামলায় হানাদার বাহিনী পিছু হটতে থাকে এবং সেনা ছাউনি, রেল স্টেশন, ফেরিঘাট, টার্মিনালে বোমা মেরে ধ্বংস করতে থাকে। হানাদার বাহিনীর পিছু হটতে থাকলে অনেক এলাকায় মুক্তিবাহিনী প্রবেশ করতে থাকে। এদিন ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ৪টি ফ্রিগেট, একটি সাবমেরিন নিয়ে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরের দিকে এগিয়ে আসে। এদিন সকাল ১১টায় যুদ্ধজাহাজ থেকে ৮সি সি হক বিমান আকাশে উড়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, মংলা ও বরিশালের পাটুয়াখালী এলাকায় একটানা বোমা বর্ষণ করতে থাকে। এদিন হানাদার বাহিনীর ডেষ্ট্রয়া খাইবার ও শাহজাহান করাচীর অদূরে ধ্বংস করা হয়। এদিনই হানাদার বাহিনী ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এদিন হানাদার বাহিনী তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাঙালিদের নিধন করতে শুরু করে।