কমলগঞ্জে সাক্ষী দেওয়ায় দুই যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত

30

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গাছ কাটার মামলার সাক্ষী দেওয়ায় দুই যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আহত ১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার দুই পা ও দুই হাতের একাধিক স্থান ভেঙ্গে ও বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। শনিবার (১ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জের দেওছড়া চা বাগানের মন্দির এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নে বৈদ্ধনাথপুর গ্রামে গত ২৫ অক্টোবর রাতে একদল দুর্বৃত্ত এনামুল হক শামীমের সমন্বিত লেবু ও আনারাস বাগানের কিছু গাছ প্রতিহিংসামূলক দুর্বত্তরা কেটে ফেলেছিল। এ ঘটনায় বাগান মালিক এনামুল হক শামীম বাদী হয়ে এ গ্রামের তাহির মিয়া (৫৫), তার ছেলে লোকমান মিয়া (২৮)সহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেছিলেন। এ মামলায় বৈদ্ধনাথপুর গ্রামের বাতির মিয়ার ছেলে শাহীন মিয়া (৩৫) ও মিছির মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীল আলম (৩৪) সাক্ষী ছিলেন। এ মামলার পর থেকে উভয় পক্ষের মাঝে বিরোধ আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
লেবু ও আনারস বাগান মালিক এনামুল হক শামীম অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দিকে তার মামলার দুই সাক্ষী শাহীন ও জাহাঙ্গীর শমসেরনগর আসার পথে দেওছড়া চা বাগানের মন্দির এলাকায় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা তাহির মিয়া (৫৫), তার ছেলে লোকমান মিয়া (২৮), আক্তার আলী (৩৪) ও রফিক আলী (২৮)-ও নেতৃত্বে ১০/১২ জনের সশস্ত্র একটি দল হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে পিটিয়ে শাহীন মিয়ার দুই হাত ও দুই পায়ের একাধিক স্থান ভেঙ্গে দেয়। পরে চাকু দিয়ে বুকে কুপিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। একই সাথে জাহাঙ্গীর আলমকে মাথায় ও হাতে কুপিয়ে আহত করে। আহত শাহীন ও জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে আশঙ্কাজনক থাকায় দুইজনকেই সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তবে শনিবার বিকালে মুঠোফোনে আলাপকালে প্রধান অভিযুক্ত তাহির মিয়া বলেন, শামীমের সাথে তার বিরোধ চলছে। এটি নিষ্পত্তির চেষ্টা করছেন। শনিবার শাহীন ও জাহাঙ্গীর তার ছেলে লোকমানকে ধান খেতে মারধর করছিল। ছেলের আর্তচিৎকার শুনে গ্রামের কিছু লোক এগিয়ে এসে তাদের মারধর করেছেন। ঘটনার পর থেকে তার ছেলে লোকমান বাড়িতে আর ফিরেনি। কুপানোর মত ঘটনা তিনি জানেন না ও তিনি এ ঘটনার সাথে জড়িত নন বরে দাবি করেন।
শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) অরুপ কুমার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয়পক্ষের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। শনিবারের ঘটনাটি বড় ধরনের রক্তাক্ত ঘটনা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় নতুন করে একটি মামলা হবে। পুলিশ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।