গৃহযুদ্ধের উস্কানি দিচ্ছে বিএনপি – ওবায়দুল কাদের

153

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাহারার কথা বলে বিএনপি সংঘাতের উস্কানি দিয়ে গৃহযুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান করে ফলাফল নিয়ে আসতে দলীয় নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।
কাদের বলেন, ‘ তাদের যদি জনগণের উপর আস্থা থাকে তাহলে তারা কীভাবে অবিরাম এগ্রেসিভ মুডে (আক্রমণাত্মক মনোভাবে) কথা বলছে? অবিবরাম তারা আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলছে।’
‘তারা গৃহযুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে। কারণ কেন্দ্রে কেন্ত্রে তিনশত লোক থেকে পাঁচশত লোক পাহারা দেওয়ার অর্থ কী? তাহলে আমরাও যদি কেন্দ্রে কেন্দ্রে তিনশত লোক থেকে পাঁচশত লোক ব্যবস্থা করি, তাহলে কী অবস্থাটা হবে? তাহলে ভোট হবে না, গৃহযুদ্ধ হবে। ভোট হবে না, ভায়োলেন্স হবে।’
‘বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট যেভাবে এগ্রেসিভ টোনে কথা বলছে, সেটা কিন্তু সংঘাতের উস্কানি। নির্বাচনের এই সুষ্ঠু পরিবেশকে বিঘ্নিত করবে, নষ্ট করবে এবং তারা কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাহারাদার নিয়োগের নামে গৃহযুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে, এটা সহ্য করা যায় না।’
‘ঐক্যফ্রন্টে বিএনপির শরিকদের কানাকড়িও দাম নেই’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে বিএনপি যাদেরকে শরিক হিসেবে রেখেছে, তাদেরকে কোনো দামই দেয় না বলে মনে করেন কাদের। বলেন, এই শরিকরা সেগুলো এরই মধ্যে বুঝতে পারছেন, সামনে আরও স্পষ্ট হচ্ছে।
ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব বিএনপির হাতে যাচ্ছে কি না- জানতে চাইলে জবাব আসে, ‘আমরা তো আগেই বলেছি, এখানে ঐক্যফ্রন্ট কোনো বিষয় নয়। ঐক্যফ্রন্ট জাস্ট একটা এলায়েন্সের রেইজ। যেহেতু তাদের নেত্রী-নেতা দ-িত, তাদের চেয়ারপারসন কারাগারে, এই অবস্থায় কামাল হোসেনকে তারা ব্যবহার করছে এবং আরও কিছু কিছু নিয়ে আসছে।’
‘লন্ডন থেকে তারেক রহমান যে নির্দেশ দিচ্ছে, তার অঙ্গুলির হেলনে আজকে ঐক্যফ্রন্ট চলছে, এটা হলো বাস্তবতা।’
‘ঐক্যফ্রন্ট ও অন্যান্য যারা আছে তারা দিনে দিনে আরও পরিষ্কার হবে যে, তাদের কানা-কড়িরও দাম নেই। তাদের ব্যবহার করা হচ্ছে।’
বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের শরিকদের পাত্তা না দিলেও জামায়াতকে আগের মতোই গুরুত্ব দেয় বলেও মনে করেন কাদের। বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী তাদের (বিএনপি) জোটে আছে। বিএনপির এই জানের-জান দোস্তকে কখনও হারাতে চায় না। কখনও এই বন্ধুত্বে ফাটল ধরবে না। কারণ, তদের অবস্থা এমন হচ্ছে যে জামায়েতের শক্তির উপর নির্ভর করছে। আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে হলে জামায়াতের সেই জঙ্গি শক্তিটা দরকার আছে।’
‘ইসির পক্ষপাত কোথায়?’
নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে বলে বিএনপির অভিযোগের বিষয়েও কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। কাদের বলেন, “আমার দৃষ্টিতে কোনো পক্ষপাতমূলক আচরণ পাচ্ছি না; বরং আমরা কিছু অভিযোগ করেছি তারা বলেছে ‘না’, আরপিও কাভার করে না।”
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে বিএনপি যে অভিযোগ তুলছে, সে বিষয়ে কাদের বলেন, “মনোনয়নপ্রত্যাশীরা যদি পল্টনে ‘জগায় মাথার উপর নৃত্য করতে করতে’ পুলিশের গাড়ির ওপর চড়াও হয়, পুলিশের গাড়ি পুড়িয়ে ফেলে, পুলিশের ওপর হামলা করে, তারা কি নিরপরাধ? তারা যদি প্রার্থীও হয়, তাহলে কি ক্ষমা করা যাবে?”
আওয়ামী লীগে মনোনয়নের ক্ষেত্রে জরিপের চেয়ে প্রশাসনে প্রভাবের বিষয়টি গুরুত্ব পাচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, ‘কে বলেছে? এটা এবসলিউটলি রং (পুরোপুরি ভুল)। আমরা সম্পূর্ণভাবে সার্ভে রিপোর্টে উপর ভিত্তি করেই মনোনয়ন দিচ্ছি। এখানে কোন কমপ্রোমাইজ করে লাভ নেই। জনগণ চায় না এমন প্রার্থীকে কেন আমরা মনোনয়ন দেব? পরাজিত হওয়ার ভয় আছে না?’