২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব ও সিলেট জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান বলেছেন, গোয়াইনঘাট-জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। এমনকি উভয় উপজেলাতে ওয়ার্ড থেকে নিয়ে প্রতিটি শাখায় আমাদের দলের শক্তিশালী কমিটি রয়েছে। সবদিক বিবেচনা করে সিলেট-৪ আসন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছাড় দিতে হবে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আমি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নমিনেশন দাখিল করি। তখন বিএনপির শীর্ষনেতা প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম. সাইফুর রহমান এর নির্দেশে নমিনেশন প্রত্যাহার করে দিলদার হোসেন সেলিমকে সমর্থন জানাই। এমনকি দিনরাত তাঁর জন্য দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে কাজ করি। তখন সিলেট বিএনপি বলেছিলো আগামী জাতীয় নির্বাচনে আপনাকে সিলেট-৪ আসন ছাড় দেয়া হবে। মানুষ এখন পরিবর্তন চায়। উন্নয়ন চায়। আওয়ামী লীগ সরকারের তিনবারের দলীয় এমপি থাকা স্বত্ত্বেও সিলেট-৪ আসনের মানুষ উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। উন্নয়নের নামে শুধু লুটপাট করা হচ্ছে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা সরকার উন্নয়নের কথা বললেও দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। তাই দেশ ও জনগণের স্বার্থে কথা বলতে আমাদেরকে সংসদে যেতে হবে। সে ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন থেকে আমি আমার নির্বাচনী এলাকায় কাজ করে আসছি। আমি আশা করি জোটের স্বার্থে সবদিক বিবেচনা করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমিয়তকে সিলেট-৪ আসন ছাড় দিবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট।
মাওলানা আতাউর রহমান উপরোক্ত বাস্তবতা তুলে ধরে দলীয় নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জমিয়ত ও নির্বাচনী ক্যাম্পাইন নিয়ে কাজ করার জন্য আহবান জানান।
গত সোমবার (১৯ নভেম্বর) বাদ আসর জৈন্তাপুর উপজেলা জমিয়তের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। উপজেলা জমিয়তের সহসভাপতি মুফতি জামাল উদ্দিনের সভাপতি ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাসউদ আজহারের পরিচালনায় শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন উপজেলা ছাত্র জমিয়ত সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ। বিজ্ঞপ্তি