ভোট পেছানোর দাবিতে ইসিতে যাবে ঐক্যফ্রন্ট

55

কাজিরবাজার ডেস্ক :
নির্বাচন পেছানোর দাবি নিয়ে আজ দুপুর ১২টায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যাবে ঐক্যফ্রন্ট। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন ড. কামাল হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুধবার ১২টায় আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনে যাব। এ সময় জাতীয় নেতারাও যাবেন। আমরা একাদশ নির্বাচন এক মাস পিছিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে আবারও অনুরোধ করব। আশা করছি নির্বাচন কমিশন আমাদের কথা রাখবেন।’
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে জানানো হয়, ঐক্যফ্রন্ট নেতারা ১৬ নভেম্বর প্রিন্ট মিডিয়ার সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন তারা।
মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ড. কামাল হোসেন সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের মহাসচিব মোস্তফা মহসীন মন্টু, ঐক্যপ্রক্রিয়ার সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, আব্দুল মালেক।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে এক মাস নির্বাচন পেছানোর অনুরোধ করেছিলাম। কমিশন নির্বাচন এক সপ্তাহ পেছানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে আমরা হতাশ, দেশবাসীও হতাশ। নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ দেখে মনে হচ্ছে, তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আগ্রহী নয়। অথচ একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ইসির ইতিবাচক পদক্ষেপ জরুরি।’
ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন ৩০ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ নির্ধারণ করেছে। এ দিনটিতে বড়দিনের ছুটি থাকে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য দিনটি বিশেষ। এ দিন তাদের জন্য উৎসবের। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচনের পুনঃতফসিল ঘোষণা করায় প্রমাণ হয় নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আগ্রহী নয়।
তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও একমাস নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার দাবি করে আসছে ঐক্যফ্রন্ট। এজন্য নির্বাচন কমিশনে চিঠিও দেয়া হয়। প্রথমে ২৩ডিসেম্বর ভোট গ্রহণের কথা বললেও পরে কমিশন পুনঃতফসিল ঘোষণা করে ৩০ডিসেম্বর ভোট নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ৩০ডিসেম্বর ভোট নিয়েও আপত্তি জানায় নবগঠিত এই ফ্রন্ট। তারা নির্বাচন একমাস পেছানোর দাবিতে অনড় থাকার কথা জানায়।
যদিও মঙ্গলবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জানিয়েছেন, নির্বাচন আর পেছানোর কোনো সুযোগ নেই।