আমি ‘ডামি’ প্রার্থী হিসেবে ফরম জমা দিয়েছি – অর্থমন্ত্রী

105

কাজিরবাজার ডেস্ক :
কয়েক বছর ধরে অবসরের কথা বলে আসার পরেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম তোলার কারণ ব্যাখ্যায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, এবার তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তবে ‘ডামি’ প্রার্থী হিসেবে ফরম জমা দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সিডিবিল থেকে বি.ও অ্যাকাউন্ট মেইনটেন্যান্স ফি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ৮৫ বছর বয়সী মুহিত বলেন, ‘আমি নমিনেশন পেপার পার্টিতে সাবমিট করেছি অ্যাজ এ ডামি ক্যানডিডেট, কারণ আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না।’
দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যা করছি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই করছি। আমাদের দেশে মুশকিল যেটা হয়, নোবডি ওয়ান্টস টু রিজাইন। আমি অবসরের রীতি চালু করতে চাই। সবারই একসঙ্গে অবসরে যাওয়া দরকার। রাজনীতিবিদদের অবশ্যই অবসরে যেতে হবে। আমার আসন থেকে মনে হচ্ছে আমার ভাই, এখনো নমিনেশন হয়নি।’
সিলেট সদর ও সিটি করপোরেশনের একাংশ নিয়ে গঠিত সিলেট-১ আসন থেকে গত ১০ বছর ধরে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন মুহিত। আওয়ামী লীগ সরকারের টানা দুই মেয়াদে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি।
আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে সরকারে থাকবেন কি না প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, ‘আমার রিটায়ারমেন্ট জরুরি, রিটায়ারমেন্টটা আমাদের পলিটিশিয়ানদের বোঝা উচিত। এখনো আমার চেয়ে সিনিয়র লোকেরা পলিটিক্সে আছেন এবং পলিটিক্সে থাকতে চান। এরশাদ আমার চেয়ে সিনিয়র, বদরুদ্দোজা সাহেব আমার সিনিয়র এবার তারা লাস্ট চান্স নিতে চান। আমার আর উইশ-টুইশ নাই, ৮৫ বছর বয়স হয়েছে, যথেষ্ট। আমার মনে হয়, ৮৫ বছরে রিটায়ারমেন্টে যাওয়া উচিত।’
সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে শেয়ারবাজারে কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রভাব একটা আছে অল পার্টিজ আর জয়েনিং, ইটস এ পলিটিক্যাল সাকসেস। পলিটিক্যাল সাকসেসের ইমপ্যাক্ট ইকোনমিতে ডেভলপমেন্টে সব কিছুতেই থাকে। এটা একটা খুব ভালো পলিটিক্যাল সিচিউশনে আছি, সবাই অংশ নিচ্ছে। একটা যে দুঃখ থাকে আনকনটেস্টে ইলেকটেড হয়ে গেলাম, ইটস নট এ প্লেজার, ইটস সাম কাইন্ড অব দুঃখ।’
তার দৃষ্টিতে গত ১০ বছরে সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার মূল্যায়ন সংক্ষেপে জানতে চাইলে মুহিত বলেন, ‘গত ১০ বছরে সরকারের পারফরমেন্স আউটস্ট্যান্ডিং, আই অ্যাম অফকোর্স এ পার্ট অফ ইট।’
ব্যাংকিং সেক্টর নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা আছে কি না-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকিং সেক্টরে অসুবিধা আছে, আই হ্যাভ সেইড মেনি টাইমস। আই শ্যাল লিভ এ রোডম্যাপ ফর ব্যাংকিং সেক্টর, এ মাসের মধ্যে দেওয়া হবে।’
বিএসইসি চেয়ারম্যান খায়রুল হক বলেন, ‘বর্তমানে শেয়ার বাজার স্থিতিশীল। কোনো অসুবিধা নেই, যদি কোনো কিছুর ব্যত্যয় ঘটে তবে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেই, নেগেটিভ কোনো প্রভাব নেই। নির্বাচনের কোনো প্রভাব নেই। পুঁজিবাজার আপন গতিতে চলছে।’
অনুষ্ঠানে বিএসইসি সিডিবিল থেকে বি.ও অ্যাকাউন্ট মেইনটেইন্যান্স ফি বাবদ ৫৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা অর্থমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আসাদুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।