কাজিরবাজার ডেস্ক :
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসিনা কর্তৃক পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ঘোষণাকে গতকাল মঙ্গলবার বাতিল ঘোষণা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি আগাম নির্বাচনের প্রস্তুতি স্থগিত রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। খবর এনডিটিভির।
গত ২৬ অক্টোবর সিরিসেনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে মাহিন্দা রাজাপাক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর থেকে সাংবিধানিক সংকটের মধ্যে পড়েছে দেশটি। আগামী ৫ জানুয়ারি দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
গত সোমবার পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার ঘোষণার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে বিক্রমাসিংহের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) নেতৃত্বে প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল। এক পিটিশনে তারা ওই ঘোষণা বাতিল করে পার্লামেন্ট পুনর্বহালের আবেদন করেছিল।
মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নালিন পেরেরার নেতৃত্বে তিন সদস্যের এক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছেন। রায় চলাকালে আদালতে চত্বরে শত শত পুলিশ ও কমান্ডো বাহিনী ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাহারায় ছিল।
গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। সুপ্রিম কোর্ট শ্রীলঙ্কার নির্বাচন কমিশনকে আগাম নির্বাচন স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের এই রায়ের অর্থ হচ্ছে, সিরিসিনার মনোনীত প্রধানমন্ত্রী রাজাপাক্ষে যদি পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে এবং বিক্রমাসিংহকে অপসারণ করতে পারে তাহলেই তারা আগাম নির্বাচনে যেতে পারে।
শ্রীলঙ্কার সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী অনুসারে, পার্লামেন্টে ভোটাভুটি ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে প্রেসিডেন্ট বরখাস্ত করতে পারবেন না। আর পার্লামেন্টে ভোট হলে বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো যাবে না। কারণ সিরিসেনার দল ইউনাইটেড পিপলস ফ্রিডম অ্যালায়েন্স (ইউপিএফএ) ও রাজাপাক্ষের দল শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির মিলিত আসনের সংখ্যা ৯৫ এবং বিক্রমাসিংহের দল ইউএনপির আসনসংখ্যা ১০৬। সমর্থন বেশি থাকায় ভোটাভুটিতে বিক্রমাসিংহের পক্ষে ভোট বেশি পড়বে।