সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণ বিশেষ করে নারী, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা না থাকায় গ্রামের অনেক ছোটখাটো ঘটনা ঘটলেও সাধারণ মানুষ তার প্রতিকার চাইতে থানা বা আদালতে আসেন, যার ফলে সময় ও অর্থ ব্যয় হয়। গ্রাম আদালতের সেবা গ্রহীতা হিসাবে এবং বিচারক প্যানেলে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
তিনি গতকাল ৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি এর আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প এর সহযোগিতায় নতুন নিয়োগকৃত গ্রাম আদালত সহকারীদের গ্রাম আদালত বিষয়ে ৪ দিনব্যাপী আবাসিক প্রশিক্ষণ শেষে সনদপত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
স্থানীয় সরকার সিলেটের উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর সিলেট ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর খন্দকার রবিউল আউয়াল নাসিমের পরিচালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর সিনিয়র ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার এনামুল হক। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় অফিসের সহকারী কমিশনার নাহিদ হাসান খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী কমিশনার ইরতিজা হাসান।
৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিংহ, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ বেলাল উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রের মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ খান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, জালালাবাদ থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মতিয়ার রহমান, সমাজসেবা অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক নিবাস রঞ্জন দাস, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার, সিলেট ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর খন্দকার রবিউল আউয়াল নাসিম প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি