নগরীতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন প্রদর্শনী

103
প্রদর্শনীতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে পরীক্ষা মূলক ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট দেন। ছবি- মো: করিম মিয়া

স্টাফ রিপোর্টার :
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে গতকাল শনিবার নগরীতে ইভিএম প্রদর্শনীর আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন। এতে ইভিএমের মাধ্যমে প্রতীকী ভোটগ্রহণ করা হয়।
সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তন প্রাঙ্গণে সকাল থেকে ৬টি বুথে নগরীর ১৭টি এলাকার ভোটারদের তথ্য সন্নিবেশিত করে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম। প্রদর্শনীতে ১০টি ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন রাখা হয়েছে। এছাড়া নিয়ন্ত্রণ কক্ষসহ ছয়টি স্টল করা হয়েছে। রাত ৮টা পর্যন্ত এ প্রদর্শনী হয়।
আলোচনা সভায় জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, সাধারণত একেকটি মেশিন সর্বোচ্চ ৫০০টি ভোট গ্রহণের জন্য, কিন্তু প্রদর্শনীর সুবিধার্থে ৪০০০ ভোটারের তালিকা এগুলোতে সন্নিবেশিত হয়েছে। তিনি বলেন, কিছু এলাকায় তার থেকে বেশি ভোটার থাকায় সব নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তাই কিছু সমস্যা থাকতে পারে। নির্বাচনে এ ধরণের সমস্যা হবে না।
এর আগে সকাল ১১ টায় প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেসুর রহমান। এসময় তিনি বলেন, সিলেটের সাথে আজ দেশের আরও ৭টি অঞ্চলে একযোগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রদর্শনী চলছে। জাল ভোট, কেন্দ্র দখল করা, এবং রাত জেগে কেন্দ্র পাহারা দেওয়া এরকম অবস্থা থেকে উত্তরণ পাওয়ার জন্য ইভিএম’র বিকল্প নেই।
ইভিএম’র প্রশংসা করে তিনি বলেন, রংপুরে ইভিএমের মাধ্যমে মাত্র ১৩ মিনিটের মাথায় রেজাল্ট দেয়া হয়েছে। এটি এমন একটি মেশিন প্রত্যেক ভোটারের আঙ্গুগুলের ছাপ কন্ট্রোল ইউনিটে সেভ করা থাকবে। নিজ নিজ এলাকার ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। এক এলাকার লোক অন্য এলাকায় গিয়ে কোন ভাবেই ভোট দিতে পারবে না।
তিনি জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে সীমিত আকারে এটা ব্যবহার করা হবে। ইভিএম ভোটিং সিস্টেমে কোন প্রকার ডিভাইস, অন্য কোন মেশিনের দ্বারা এটি নষ্ট করা যাবে না। খুব শিগগিরেই আরও বড় পরিসরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অত্যন্ত ঝাঁকজমকপূর্ণ পরিসরে ইভিএম ভোটিং মেশিনের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। রেডিও, বেতার, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে এর প্রচার আরও বাড়াতে হবে।
সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুল আহসান পিপিএম, সিলেট জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম প্রমুখ।