জাতীয় নির্বাচনের তফসিল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই

30

কাজিরবাজার ডেস্ক :
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল হচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছে ইসি সচিব হেলালুদিন আহমদ। বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এর আগে গত সোমবার কমিশনের বৈঠক শেষেও তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ অক্টোবরের পর যে কোন দিন তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। কমিশনের আগামী বৈঠকেই তফসিলের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে উল্লেখ করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার সভার কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সচিব সাংবাদিকদের বলেন, নবেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তফসিল ঘোষণার বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কিভাবে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা যায় বিষয়টিও আলোচনায় উঠে এসেছে।
বেলা ১১টায় ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আগারগাঁওয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার কার্যালয়ে বৈঠক করে। বৈঠকে সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মোঃ রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের আরও বলেন, বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইইউ প্রতিনিধিদলের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে আইনের মধ্য থেকে নির্বাচন কমিশনের যতটুকু ক্ষমতা রয়েছে, সব ক্ষমতা প্রয়োগ করে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেয়া সম্ভব হবে। প্রতিনিধিদল অবাধ সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। এছাড়া নির্বাচনে ইভিএম, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, জনবল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রবাসীদের ভোট দেয়ার প্রক্রিয়া এবং ভোটার তালিকা সম্পর্কেও জানতে চেয়েছে। সিইসি তাদের জানিয়েছেন, আইন পাস হলে স্বল্প পরিসরে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। আইনের মধ্য থেকেই নির্বাচনে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নির্বাচনে পর্যবেক্ষক সম্পর্কে তাদের জানানো হয়েছে যে কমিশনের নিবন্ধিত ১১৯টি স্থানীয় পর্যবেক্ষণ প্রুপ রয়েছে। এ ছাড়া বাইরের দেশ থেকে যে পর্যবেক্ষকরা আসতে চাইবেন, তাদের স্বাগত জানানো হবে। তাদের জন্য একটি নীতিমালা আছে। সে অনুযায়ী তারা সবকিছু করতে পারবেন। তাদের আইডি কার্ড দেয়া হবে। সংবিধানের প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী সব ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনের সময় পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনবল উপস্থিত থাকবে।
এদিকে কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে টেরিংক সাংবাদিকদের বলেন, আশা করি নির্বাচন হবে সব দলের অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের আগে ইইউ বিশষজ্ঞ টিম পাঠাবে। তফসিলের পরে নবেম্বরে তারা দুই সপ্তাহ অবস্থান করে ভোটের পরিস্থিতি দেখবে উল্লেখ করেন।