শিরোপা ফিলিস্তিন না তাজিকিস্তানের ফয়সালা আজ

35

স্পোর্টস ডেস্ক :
১৯৯৭ সালে প্রথম এবং ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয়বার অনুষ্ঠিত হয়েছিল জাতির জনকের নামের টুর্নামেন্ট ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতা’। তৃতীয় আসরের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল সুদীর্ঘ ১৫ বছর। ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে আসর। পরের বছর ২০১৬ সালে হয় চতুর্থ এবং সর্বশেষ আসর। কিন্তু প্রতি বছর আসরটি আয়োজনের যে প্রতিশ্রুতি বাফুফে দিয়েছিল ২০১৭ সালে সেটা বাস্তবায়ন করতে পারেনি তারা। এক বছর বিরতি দিয়ে এবার আবারও তারা আয়োজন করেছে আসরটি। যদিও ২০১৬ আসরে ৮ দল অংশ নিলেও এবার দলের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬-এ। এশিয়ার পাঁচটি ফুটবল জোন আছে। এই ৫টি জোন থেকে ৫টি দেশ এবং স্বাগতিক বাংলাদেশকে নিয়েই আসরটি আয়োজিত হয়। সেই আসরের শেষ দিন আজ। সিলেট ও কক্সবাজার ঘুরে আজ ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত মহারণ। যাতে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ফিলিস্তিন মুখোমুখি হবে তাজিকিস্তানের। এই ফাইনালে যে দলই শিরোপা জিতুক না কেন তারাই হবে এই আসরের নতুন চ্যাম্পিয়ন।
তাজিকিস্তানের সামনে রয়েছে বদলা নেয়ার মওকা। গ্রুপ পর্বের (‘এ’ গ্রুপ) মোকাবেলায় এই ফিলিস্তিনের কাছেই তারা হেরেছিল ২-০ গোলের ব্যবধানে। বৃহস্পতিবার দু’দলই শেষবারের মতো ঘাম ঝরায় অনুশীলনে। একইদিন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয় দু’দলের প্রি-ফাইনাল ম্যাচ কনফারেন্স। এতে উপস্থিত ছিলেন দু’দলের কোচ এবং অধিনায়ক। দু’দলের কোচই শিরোপা জয়ের ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অতীতে তাজিকিস্তানের ঢাকায় এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের ট্রফি জয়ের স্মৃতি আছে। সেটা ২০০৬ সালে। ফিলিস্তিনও একই শিরোপা জিতেছে ২০১৪ সালে। তবে সেটা বাংলাদেশের মাটিতে নয়।
ফাইনালের আগে অবশ্য ফিলিস্তিনের চেয়ে তাজিকিস্তান একটু বেশি সময় পেয়েছে নিজেদের প্রস্তুত করতে। কেননা তারা সেমির ম্যাচ খেলে ৯ অক্টোবর। ফিলিস্তিন সেমির ম্যাচ খেলে তার একদিন পর।
এই দু’দলের গ্রুপ ম্যাচে প্রতিপক্ষের বক্সে হেড করতে গিয়ে মাথায় ভয়ানক চোট পান তাজিক ডিফেন্ডার বখতিয়ার কালান্দারভ। হেড করার সময় ফিলিস্তিনের আরেক ডিফেন্ডার অধিনায়ক আব্দাল লতিফের মাথার সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার। তৎক্ষণাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। মিনিট দশেক চেষ্টার পরও তার জ্ঞান ফেরাতে ব্যর্থ হন মাঠে উপস্থিত মেডিক্যাল টিমরা। শেষ পর্যন্ত এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। আজ ফাইনালে খেলবেন না তিনি।
হেড টু হেড লড়াইয়ে দু’দল এ পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। তাতে জয়ের পাল্লা ভারি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ফিলিস্তিনের। তারা জিতেছে ১টি ম্যাচে। মধ্য এশিয়ার দেশ তাজিকিস্তানের কোন জয় নেই। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়। গোলের ব্যবধানেও এগিয়ে রয়েছে ফিলিস্তিন। তাদের ৬ গোলের বিপরীতে তাজিকিস্তান করেছে ৪ গোল। ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে ফিলিস্তিন। তাদের র‌্যাঙ্কিং ১০০। আর তাজিকিস্তানের ১২০।
শিরোপা সংখ্যায়ও এগিয়ে ফিলিস্তিন। তারা এ পর্যন্ত জিতেছে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ আর নাগমা কাপ ট্রফি। আর তাজিকরা জিতেছে ১টি, এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ।