স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মদিনা মার্কেট পনিটুলা ঘোষপাড়ায় খাদ্যে বিষাক্ত পদার্থ মিশিয়ে ২ পরিবারের প্রায় সবাইকে অজ্ঞান করে অন্তত ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।
চিকিৎসা নিয়ে যারা বাসায় ফিরেছেন তারা হলেন- হ্যাপি রাণী দাস (২২), জনি রাণী দাস (২৫), পলি রাণী দাস (২৬), বিজন দাস (২৪) ও হৃদয় দাস (৬), শাহ খুররম ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জহরলাল দেবের বাসায় সহকারি সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা কাজল দাস (৪৫), রিম্পা দাস (৩৪) ও সুবোধ দাস (৩০)। যারা ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তারা হচ্ছে- এমসি কলেজের ছাত্র অনুপ দাস (২৩) ও ব্লু-বার্ড স্কুলের ছাত্র রুদ্র দাস (১০)।
সুস্থ হয়ে ওঠা পরিবারের সদস্যরা জানান- পনিটুলা পল্লবি আবাসিক এলাকার ৩১/২ নং বাসায় দুটি ইউনিটে ২ পরিবারের বসবাস। শুক্রবার ২ পরিবারের সবাই প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খান। এরপর থেকে আর কিছুই তাদের মনে নেই। খবর পেয়ে আত্মীয় স্বজন এসে রাতেই শয্যাশায়ী অবস্থায় ১০ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পরিবারের সদস্য কাজল দাস জানান- সুস্থ্য হয়ে বাসায় ফেরার পর দেখেন তাদের অনেক জিনিস এলোমেলো। তাছাড়া তাদের প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট হয়ে গেছে। তাদের সাথে কারো শক্রতা নেই উল্লেখ করে কাজল দাস বলেন- প্রথমে তারা খাদ্যে বিষক্রিয়া মনে করলেও স্বর্ণালংকার লুট হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ার পর বুঝতে পারেন যে, দুর্বৃত্তরা স্বর্ণালংকার লুট করতেই রান্নাঘরের পেছনের জানালা দিয়ে খাবারে বিষাক্ত পদার্থ মেশাতে পারে। খবর পেয়ে এসআই সুমনের নেতৃত্বে জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যপারে জালালাবাদ থানার এসআই সুমন বলেন- তিনি গিয়ে অনেককেই অজ্ঞান অবস্থায় পান। তবে তিনি ফিরে আসার আগেই সবাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তবে ঘটনাটি কিভাবে ঘটেছে তা তিনি বুঝতে পারেননি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ দাস। তিনি ঘটনা তদন্তপূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
রবিবার রাতে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। কাউকে আটকও করা যায়নি। তার পরেও বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।