নিখোঁজের ৪দিন পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জকিগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর শাহাব উদ্দিন তাপাদার শাকিলকে। তবে উদ্ধার হওয়ার একদিন পরও কথা বলতে পারছেন না শাকিল।
বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। বুধবার হাসাপাতালে গিয়ে তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি কথা বলতে পারেননি।
মঙ্গলবার তাঁকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুলিশী নিরাপত্তায় সিলেটে নিয়ে আসা হয়।
এদিকে শাকিলের উদ্ধারের পর একদিন কেটে গেলেও এখনো তার অপহরণ বা নিখোঁজ হওয়ার কী কারণে রয়েছে, তা নিশ্চিত নয় পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি, স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা এই অপহরণের সাথে জড়িত রয়েছেন, তবে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা তা নাকচ করে দেন।
হাসপাতালের নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত ডাক্তার মাহফুজ জানান, শাকিলের শারীরে বাহ্যিক কোন গুরুতর আঘাত নেই, তবে কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে যাতে বোঝা যায় ভিতরে বা মস্তিষ্কে কোন আঘাত পেয়েছেন কিনা।
তিনি বলেন, শারিরীক আঘাতের কারণে অথবা এ ঘটনার ধকল থেকে ট্রমার কারণে তিনি হয়তো এখনো কথা বলতে পারছেন না। তবে সকালে (বুধবার) তিনি কথা বলার চেষ্টা করেছেন, তবে কথা পরিষ্কার না।
শাকিলের ভাই সেলিম আহমদ বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে জকিগঞ্জ উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শিব্বির আহমদের সাথে শাকিলের দ্বন্দ্ব চলছিলো। এর জের ধরে কয়েকদিন আগে শিব্বির শাকিলকে প্রকাশ্যে হত্যা ও মারধোরের হুমকিও দেন। এরপরই এ নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। আমাদের ধারণা শিব্বির আহমদ এর সাথে জড়িত রয়েছেন।
এদিকে শাকিল নিখোঁজের পর তার মোবাইল নাম্বার থেকে কল করে মুক্তিপণ দাবি করা হয় তবে পরে সে নাম্বার আবারো বন্ধ করে দেয়া হয় বলেও জানান সেলিম।
এ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জকিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক কল্লোল গোস্বামী বলেন, শিব্বিরের সাথে শাকিলের দ্বন্দ্ব মূলত খেলাধুলা আয়োজন বিষয়ক আর তা অনেক পুরোনো। তবে এ দ্বন্দ্ব এতো চরমে যায়নি যে তা থেকে অপহরণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে”।
মামলার তদন্ত অগ্রগতি সম্পর্কে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সার্কেল) মো. মোস্তাক সরকার জানান, সব বিষয় বিবেচনায় নিয়েই পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। শীঘ্রই এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে”। (খবর সংবাদদাতার)