জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে প্রিপেইড বিদ্যুৎ সার্ভিসে গ্রাহকরা সচেতন হয়েছেন। আগে বিদ্যুতের অনেক অপচয় হতো। দিনেরাতে বাতি, ফ্যান, ফ্রিজার সহ বৈদ্যুতিক সামগ্রী চালু থাকতো। এখন তা রোধ হয়েছে। সেই সাথে বন্ধ হচ্ছে বিদ্যুৎ চুরি। এখন অযথা কেউ বিদ্যুৎ ব্যবহার করেনা। এতে অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। যে কারণে জগন্নাথপুরে সাশ্রয় হওয়া বিদ্যুৎ দেশের অন্য কোথাও আলোকিত করছে।
জানা গেছে, বিগত প্রায় ১১ মাস আগে সরকারি নির্দেশনায় জগন্নাথপুর উপ-বিভাগী বিদ্যুৎ প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম আজাদের উদ্যোগে জগন্নাথপুরে ডিজিটাল মিটারের মাধ্যমে বিদ্যুতের প্রিপেইড সার্ভিস শুরু হয়। প্রথমে গ্রাহকরা প্রিপেইড সার্ভিস মেনে না নিলেও বর্তমানে স্বেচ্ছায় গ্রাহকরা উৎসাহিত হচ্ছেন। প্রিপেইড সার্ভিসে গ্রাহকরা অনেক সচেতন হয়েছেন এবং খরচ কমে এসেছে।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপ-বিভাগী বিদ্যুৎ প্রকৌশলী আজিজুল ইসলাম আজাদ বলেন, প্রথমে প্রিপেইড সার্ভিস চালু করতে অনেক হিমশিম খেতে হয়েছে। দফায় দফায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছিল। বর্তমানে বিষয়টি বুঝতে পেরে গ্রাহকরা স্বেচ্ছায় প্রিপেইড সার্ভিস পেতে অফিসে এসে লাইন দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, প্রিপেইড সার্ভিসের আওতায় আসায় জগন্নাথপুরে এখন বিদ্যুৎ সাশ্রয় হচ্ছে। তাই জগন্নাথপুরে সাশ্রয় হওয়া বিদ্যুৎ দেশের অন্য কোথাও আলোকিত করছে। সেই সাথে বন্ধ হয়েছে বিদ্যুৎ চুরি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের গ্রাহক সংখ্যা ১৬ হাজার। এর মধ্যে ১১ হাজার প্রিপেইডের আওতায় চলে এসেছে। বর্তমানে ডিজিটাল মিটার সংকট। তবে আশা করছি কিছু দিনের মধ্যে বাকিদেরও প্রিপেইডের আওতায় আনা সম্ভব হবে।