বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে এক স্কুলছাত্রীর বাল্য বিয়ে রুখতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। সোমবার ২৪ সেপ্টেম্বর বিয়ের দিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তাই রাতেই সিলেটে বিয়েটি সম্পন্ন করেন বর ও কনে পক্ষের লোকজন। ওই স্কুলছাত্রী উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের নিজাম উদ্দিনের মেয়ে। সে স্থনীয় প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী বলে জানান প্রধান শিক্ষক ফারুক ইকবাল।
তার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদে জন্ম তারিখ রয়েছে ২ জানুয়ারি ২০০১। সে অনুযায়ি বিয়ের দিন পর্যন্ত তার বয়স ১৭বছর ৮মাস ২২দিন। এমন অভিযোগ এনে বিয়েরদিন দুপুরে (২৪সেপ্টেম্বর) ইউএনও বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন বিশ্বনাথেরগাঁও গ্রামের মৃত হাজী মদরিছ আলীর পুত্র আহমদ আলী। কিন্তু আবেদন পাওয়ার পরও রহস্যজনকভাবে ইউএনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। তাই ওইদিন রাতেই পূর্ব মন্ডলকাপন গ্রামের মৃত মনু মিয়ার পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী সিলু মিয়া চন্দন’র সাথে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়।
তবে, এ ব্যাপারে ইউএনও অমিতাভ পরাগ তালুকদার অভিযোগ প্রাপ্তীর কথা স্বীকার করে বলেছেন বিয়েটি তার এলাকায় নয়, সিলেটে গোপনে ওই বিয়ে হয়েছে। তাই তিনি কার্যকর কোন পদক্ষেপ নিতে পারেননি।
স্কুলছাত্রীর বাবা নিজাম উদ্দিন বলেন, তার মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ হতে মাত্র একমাস বাকি আছে। ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেওয়া যাবেনা, সেটাও তার জানা নেই। বর পক্ষের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ থাকায় সিলেটে তার এক আত্মীয়ের বাসায় ৮ লাখ টাকা কাবিননামা ও ৫ ভরি স্বর্ণ ধার্য করে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।