কাজিরবাজার ডেস্ক :
আবারো পেছাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা। ১৫ মার্চ থেকে এ নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের কারণে পরীক্ষার সময় পেছানো হয়েছে। কবে নাগাদ পরীক্ষা শুরু হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। তবে চলতি মাসের শেষে অথবা এপ্রিলের শুরুতে এ পরীক্ষা শুরু হতে পারে।
এর আগে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে তা পিছিয়ে মার্চে নেয়া হয়। শিক্ষক নিয়োগ ২০১৮ লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু করতে সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে লিখিত পরীক্ষা আয়োজনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) নির্দেশনা দেয়া হয়। সে অনুযায়ি পুরোপুরি প্রস্তুতি থাকলেও আগামী ১৩ মার্চ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ পালন করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় ১৫ মার্চ নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
ডিপিইর মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ থেকে শুরু করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়। আবেদনকারী বেশি হওয়ায় কয়েকটি ধাপে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার প্রস্তুতি শুরু করা হয়। এ পরীক্ষার জন্য আমাদের শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও আগামী ১৩ মার্চ জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ পালন করার সিদ্ধান্ত হওয়ায় তা আবারও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।’
‘২৭ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও প্রধানমন্ত্রী এদিন সময় দিতে না পারায় তা পিছিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পাওয়ায় আগামী ১৩ মার্চ তা পালনের প্রস্তুতি চলছে। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন।’
কবে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুরু করা হবে জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, ‘আপাতত শিক্ষা সপ্তাহ আয়োজন নিয়ে সবাই ব্যস্ত রয়েছে। এ অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রণালয়ের সভা করে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার সময় পুনরায় নির্ধারণ করা হবে।’
তবে মার্চের শেষে অথবা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। এবার নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে নেয়া হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষা আয়োজনের আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল আটটায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হবে।