আল-হেলাল সুনামগঞ্জ থেকে :
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ি বদিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী হত্যা মামলায় এক ব্যক্তির মৃত্যুদন্ড ও আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এই দন্ডাদেশ দেন। রায়ে সদর উপজেলার বুড়িস্থল গ্রামের পাখি মিয়ার ছেলে বাদল মিয়াকে মৃত্যুদন্ড এবং সুনামগঞ্জ পৌর শহরের নতুন হাসননগর গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে সফিক মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার অপর আসামি জাকির হোসেনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি রাতে সদর উপজেলার মাইজবাড়ি গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে ওয়াজ মাহফিল চলছিল। রাত সোয়া নয়টার দিকে ওয়াজ মাহফিলের পাশে এক মেয়েকে নিয়ে কথা বলছিলেন বাদল মিয়া, সফিক মিয়া ও জাকির হোসেন। এ সময় মাইজবাড়ি বদিপুর গ্রামের আজমত আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী ও এলাকার মুরব্বিরা বাদল মিয়াসহ অন্যদের সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। বাদল মিয়া তখন জানায় মেয়েটি তার প্রেমিকা। এলাকায় ওয়াজ হচ্ছে শুনে ওই মেয়েটির কথায় তারা এখানে এসেছেন। ইয়াকুব আলী প্রেমিকার সামনে বাদল মিয়াকে অপমান করায় সে ইয়াকুব আলীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে বদিপুর এলাকায় ইয়াকুব আলীর ওপর হামলা চালায় বাদল, সফিক ও জাকির। এ সময় বাদল মিয়া এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে ইয়াকুব আলীকে। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন ইয়াকুব আলীর বড় ভাই হযরত আলী বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় বাদল মিয়া, সফিক মিয়া ও জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে আদালত বুধবার রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের এজলাসে উপস্থিত ছিলেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খায়রুল কবির রুমেন।