স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ৪টি মাদক স্পট থেকে ৩ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ দিনব্যাপী মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরুর প্রথমদিনে কাষ্টঘর, ভার্থখলা, কীনব্রিজ ও মমিনবাগ এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিলেট বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
বিশেষ অভিযানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খৃস্টফার হিমেল রিছিলের উপস্থিতিতে পরিচালিত এই অভিযানে তাদের কাছে থেকে ৭ কেজি গাজা, ৪০ পিস ইয়াবা ও ভারতীয় ফরেন লিকার উদ্ধার করা হয়েছে। ১৫ দিনব্যাপী মাদকবিরোধী এ যৌথ অভিযানে ছিল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সিলেট জেলা, র্যাব ৯, এসএমপি ও এপিবিএন এর প্রায় ৪০ জন কর্মকর্তা ও সদস্য।
এ ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও পরিচালক অপারেশনের তত্ত্বাবধানে সিলেটের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ১৫ দিনব্যাপী এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও বলেন, পবিত্র নগরী সিলেট থেকে মাদক নির্মূলে সর্বস্তরের জনগণের সহযোগিতা ও মাদক ব্যবসায়ীদের গোপন আস্তানার খবর মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরকে অবহিত করার সাথে সাথে যে কোন সময় যে কোন দিন তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রেখে অভিযান পরিচালনা করা হবে। বর্তমান সরকার মাদক নির্মূলে বদ্ধপরিকর তাই আমরা মাদকবিরোধী অভিযানে কঠোর অবস্থান নিয়েছি।
এদিকে, কোতোয়ালি ও দক্ষিণ সুরমা থানা এলাকায় আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ান (এপিবিএন) অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্যসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর তাজুল ইসলাম ও এপিবিএন পুলিশের এসআই স্বপন কান্তি দাসসহ পুলিশের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় পুলিশ নগরীর কাস্টঘর এলাকার বাসিন্দা কালুয়া’র পুত্র থেকে মাদক ব্যবসাযী মোল্লাকে (২৪) ৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। উদ্ধারকৃত ইয়াবার মূল্য ২৫ হাজার টাকা বলে জানায় পুলিশ। এছাড়াও গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- কোতোয়ালি থানার কাস্টঘর এলাকার বাসিন্দা দুর্গেস দাসের পুত্র অপু দাস (৪৬), এ সময় তার কাছ থেকে এক বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ১৫শত টাকা। এছাড়াও ২০ কেজি গাঁজাসহ দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা থেকে মাদক ব্যবসায়ী রিপন লালকে (২৫) গ্রেফতার করেছে। সে ওই এলাকার দিলিপ দাসের পুত্র। উদ্ধারকৃত গাঁজার মূল্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা। মাদকসহ ৩জন গ্রেফতারের দায়ে কোতোয়লি থানায় গ্রেফতারকৃত অপু দাস ও মোল্লার বিরুদ্ধে মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এছাড়াও দক্ষিণ সুরমা থেকে গ্রেফতারকৃত রিপন লালের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানায় আরেকটি মামলা দাযের করে এপিবিএন পুলিশ। এরপর গ্রেফতারকৃতদেরকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ।