স্টাফ রিপোর্টার :
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, পৃথিবীতে কোন আইনকেই স্বয়ংসম্পূর্ণ বলা যাবে না। সকল আইনেই কিছু ক্রটি-বিচ্যুতি থাকে। তেমনিভাবে দেশে বিদ্যমান শিশু আইন-২০১৩ তেও কিছু ক্রটি-বিচ্যুতি রয়েছে। যা বিচারক ও বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় চিহ্নিত হয়েছে। তিনি বলেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে এই ক্রটি বিচ্যুতিগুলো দ্রুত সংশোধন করা প্রয়োজন। এগুলো দূর করে শিশু আইন-২০১৩ সংশোধন করা হলে শিশু আদালতের মামলাগুলোর গুণগতমান বৃদ্ধি করে নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। গতকাল বুধবার বিকেলে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সভাকক্ষে শিশু আদালতের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকার বাইরে দেশে এই প্রথম সিলেটে শুরু হলো শিশু আদালতের কার্যক্রম। এর আগে ভবনের ৫ম তলায় সংস্কারকৃত আধুনিক শিশু আদালতের কার্যক্রমের ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ও শিশু অধিকার বিষয়ক বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান মো. ইমান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আরো বলেন, শিশুরাই দেশ ও জাতির কর্র্ণধার। তাদেরকে আদর্শবান ও শিক্ষিত করে গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব। কোন শিশুই অপরাধী হয়ে জন্মায় না। কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষের কারণে এরা অপরাধ জগতে বিচরণ করে। শিশু যাতে বিপথগামী না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা আমাদের সামাজিক ও নৈতিক দায়িত্ব।
সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ তাসনিমা শারমিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা বিভাগের প্রধান জন লেইবি। এ সময় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির আহমদ চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. মো. জাকির হোসাইন, সিলেট জেলা ও দায়রা জজ ড. গোলাম মর্তুজা, জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান, পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান, সিলেটের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।