স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের নদ-নদীর পানি ও নগরীর নিম্নাঞ্চল আবারও আস্তে আস্তে প্লাবিত হচ্ছে। সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে সিলেট অঞ্চলে নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। একইসাথে পাহাড়ি ঢলের আশঙ্কা করার পাশাপাশি সিলেটে ফের বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর, সিলেট অফিসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে গতকাল শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ৫৫ দশমিক ৫ মিলিমিটার। এছাড়া শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেট অঞ্চলে ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর, সিলেট অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৌসুমি বায়ু প্রবাহিত হওয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এই বৃষ্টি আরও ২ থেকে ৩ দিন স্থায়ী হবে। তবে মাসের শুরু থেকে হওয়া বৃষ্টির পরিমাণ প্রতিদিন কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এরপরই বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে।
এদিকে আগামী ১০ জুনের পর থেকে ভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এতে করে পাহাড়ি ঢলের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনটা হলে সিলেট অঞ্চলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট অফিস।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ আহমেদ বলেন, আগামী ১০ তারিখ থেকে শুরু হয়ে ১৪ তারিখ পর্যন্তভারতের মেঘালয় ও আসামে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে সিলেট অঞ্চলে নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। সে সময় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। মূল চিন্তার কারণ পাহাড়ি ঢল। তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে সিলেটে সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নদ-নদীর বাঁধগুলো মেরামত ও সংস্কারের কাজ করা শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে সেই মেরামত কাজ শেষ হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে জকিগঞ্জ উপজেলার অমলশিদ এলাকায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর উৎসস্থলের নদী প্রতিরক্ষা বাঁধের মেরামত সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে আবারও নগরীর সুরমা নদীর পানি উপচে উঠতে শুরু করেছে। ফলে নগরীর শাহজালাল উপশহরসহ বেশ কিছু এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে করে আবারও সৃষ্ট বন্যার শঙ্কায় আছেন নগরবাসী।