বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
পূর্ব-নির্ধারিত সময় অনুুযায়ী প্রেস-ব্রিফিং না করায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশের সংবাদ সম্মেলন বর্জন করেছেন বিশ্বনাথ প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত বিশ্বনাথ থানা পুলিশের সকল পজেটিভ সংবাদ বয়কটের ঘোষনা দিয়েছেন তারা। গতকাল বুধবার দুপুর ১২ টায় থানা কম্পাউন্ডে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের অপেক্ষমান রেখে সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করায় প্রেসক্লাব নেতৃবৃৃন্দ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর সোমবার রাতে অজ্ঞাতনামা এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। লাশ উদ্ধারের দীর্ঘ ৯দিনের মাথায় মঙ্গলবার রাতে হত্যারকারিকে গ্রেফতার ও ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন হয়েছে মর্মে বিশ্বনাথে কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের থানায় ডাকা হয়। ওইদিন রাতে বিশ্বনাথের র্শীর্ষস্থানীয় সাংবাদিক নেতাদের নিয়ে থানা কম্পাউন্ডে বৈঠক করেন থানার ওসি শামসুদ্দোহা।
মঙ্গলবার রাতের বৈঠকে বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, সাধারণ সম্পাদক রোহেল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবীন সুহেল, কার্যনির্বাহী সদস্য কামাল মুন্না, আব্দুস সালাম, সহযোগী সদস্য বদরুল ইসলাম মহসিন, প্রেসক্লাব অপরাংশের সহ-সভাপতি তজম্মুল আলী রাজু, সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, যুগ্ম-সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, সদস্য নুর উদ্দিন, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ পাবেল সামাদ এবং সিনিয়র সদস্য আব্বাস হোসেন ইমরান উপস্থিত ছিলেন।
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বুধরাব দুপুর ১২ টায় বিশ্বনাথে কর্মরত সকল সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে থানা কম্পাউন্ডে পুলিশের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হবে। কিন্তু বিশ্বনাথের সকল সাংবাদিকদের সকাল ১১টা থেকে অপেক্ষমান রেখে কখনও সাড়ে ১২টা, কখনও ১টা আবার কখনও ২টা এভাবে একাধীকবার সময় পরিবর্তন করা হয়। অবশেষে বিশ্বনাথে সাংবাদিকদের অপেক্ষমান রেখে দুপুর ১২টায়ই সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করেন থানার ওসি শামসুদ্দোহা ও ওসি তদন্ত দুলাল আকন্দ। যে কারনে, বুধবার সন্ধ্যা থেকে থানা পুলিশের সকল সংবাদ বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের জরুরী সভার আহবান করা হয়।