জামালগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জামালগঞ্জ শাখার মেয়াদ উত্তীর্ণের প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলেও নতুন করে আর কোন নির্বাচিত কমিটি না হওয়ায় পুরাতন কমিটির সকল প্রকার প্রতিনিধিত্ব স্থগিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে গত ৯ সেপ্টেম্বর লিখিত আবেদন করেছেন শিক্ষকগন।
দুই শত বত্রিশ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরিত এই আবেদনে জানা যায়, বিগত ০৪/০৬/২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির জামালগঞ্জ উপজেলা শাখার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সমিতির ম্যানুয়েল অনুযায়ী নির্বাচিত কমিটির মেয়াদ ছিল তিন বছর।অথচ অদ্যাবধি প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলেও সমিতির নতুন করে কমিটি গঠনের নির্বাচন হয়নি। পুরাতন কমিটিই সমিতির সকল কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। মাসিক সমন্বয় সভা সহ বিভিন্ন সময়ে নতুন কমিটি গঠনের জন্য শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রস্তাব করলেও সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ কর্ণধারগন তা অগ্রাহ্য করে আসছেন। যেখানে সমিতির শুরু থেকে অদ্যাবধি আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব দিচ্ছেন না এবং সমিতির উন্নয়ন কার্যক্রমও অদৃশ্য।এতে করে সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।এতে যে কোন সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশংকা করছেন আবেদনকারি শিক্ষকরা। তাই সমিতির নতুন কমিটির জন্য নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সমন্বয় সভাসহ বিভিন্ন দাপ্তরিক কার্যক্রমে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির প্রতিনিধিত্ব স্থগিত করার দাবি জানানো হয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত এ সংক্রান্ত আবেদনে দুই শতাধিক শিক্ষক স্বাক্ষর করেন। আবেদনে স্বাক্ষর কারি শিক্ষকদের মধ্যে আব্দুল গফফার তালুকদার, অতুল চন্দ্র তালুকদার, কৃষ্ণকান্ত পুরকায়স্থ, নিসেন্দু গোস্বামী, শমসের আলী, আবুল লেইচ, জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি অনৈতিক ভাবে দায়িত্ব আঁকড়ে ধরে আছেন। কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে উপজেলা শাখার নতুন কমিটি নির্বাচনের নির্দশনা এলেও এব্যাপারে কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তাই আমরা কমিটির সদস্যরা বাধ্য হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত আবেদন করেছি,যেন দাপ্তরিক সকল কাজে এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির প্রতিনিধিত্ব স্থগিত করা হয়। আমরা অবিলম্বে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে এডহক কমিটি গঠন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মীর আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শিক্ষকদের একটি লিখিত আবেদন পেয়েছি। কিন্তু তাদের সমিতির ব্যাপারে আমার কোন এখতিয়ার নেই, তাই আমি কোন ভুমিকা বা ব্যাবস্থা নিতে পারিনা। তবে তারা যেহেতু আবেদন করেছেন আমি উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে নির্বাচনের একটা পরিবেশ করার চেষ্টা করব।।