দেশ ও সমাজকে নিয়ে যারা ভাবেন তারা সমাজকে অনেক কিছুই দিয়ে যান। তাদের মেধা, যোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতা দিয়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে আলোকিত রূপ দান করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলম তেমনি একজন ব্যক্তিত্ব। শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা, আন্তরিকতা, প্রজ্ঞাসহ বিভিন্ন মানবিক গুণাবলী দ্বারা সকলের হৃদয় জয় করেছেন। পাশাপাশি তাঁর মেধা, যোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতা নিয়ে ব্যাংকের সাবির্ক ব্যবস্থাপনাকে মর্যাদা এবং আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। ব্যাংকের কল্যাণে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক, সিলেট-এর নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলম-এর প্রধান কার্যালয়ে বদলী উপলক্ষে আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক, সিলেট-এর কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের উদ্যোগে ব্যাংকের প্রশিক্ষণ হলে এই বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিদায়ী সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলম এবং বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহাব্যবস্থাপক জীবন কৃষ্ণ রায়।
ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক মো. মোজতবা রুম্মান চৌধুরীর সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল-এর সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হাসানের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত উপমহাব্যবস্থাপক এম. আফসার উদ্দিন, উপ-মহাব্যবস্থাপক শামীমা নার্গিস, মো. কমর উদ্দিন, মো. মেজবাহ উদ্দিন, যুগ্ম পরিচালক মো. মতিউর রহমান সরকার, মো. জাবেদ আহমদ, যুগ্ম ব্যবস্থাপক(ক্যাশ) মো. আশরাফ উদ্দিন, ব্যাংক ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আকতার, অফিসার্স এসোসিয়েশন (ক্যাশ)-এর সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল হাকিম, বাংলাদেশ ব্যাংক এমপ্লয়ীজ এসোসিয়েশন (সিবিএ), সিলেট-এর সভাপতি মোফাখখারুল ইসলাম, কর্মচারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী সংবর্ধিত অতিথিকে নিবেদিত মানপত্র পাঠ করেন ব্যাংকের উপপরিচালক হুমায়রা জাহান রুপু এবং তিনি বিদায়ী অতিথির হাতে মানপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ব্যাংক মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল কাশেম।
সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, সিলেটের মাটি ও মানুষের সাথে আত্মার সম্পর্ক। আমার চাকুরি জীবনের শুরু এখান থেকেই। মানুষ যেহেতু মূলের দিকে ধাবিত হয়, সেক্ষেত্রে আমিও চাকুরী জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সিলেটে এসে সৌভাগ্যবান মনে করছি। ব্যাংকের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করেছি। সম্মান অর্জন করতে গেলে সম্মান করতে হয়, এই দর্শন নিয়ে নিজের প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যান। ব্যাংকের কল্যাণে তিনি সবার্ত¥ক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বিজ্ঞপ্তি