দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
পাল্টেছে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিত্র। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: পুলিন বিহারী ধর যোগদানের পর ওই হাসপাতালের সেবার মান অনেকাংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকট ও এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতার কারণে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা প্রায় ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। হাসাপাতালে বর্তমানে ৪জন ডাক্তার ও ৬জন নার্স কর্মরত রয়েছেন। তন্মধ্যে ৫ জন ডাক্তার ও ৮জন নার্সের পদ এখনো শূন্য রয়েছে।
উল্লেখ্য, ডা. পুলিন বিহারী ধর গত বছর যোগদানের পর থেকে হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রতিদিন তিনি হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে পরিদর্শনসহ নিয়মিত চিকিৎসাসেবা প্রদান করে আসছেন। এছাড়াও ২জন ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের প্রতিনিয়ত কার্যক্রম পরিচালনা সহ আউটডোরে প্রায় সারে চার শ জন শিশু ও গর্ভবতী রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। আগের চেয়ে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি, হাসপাতালে রোগীদের মধ্যে সরকারি ওষুধ সরবরাহ বহু গুনে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি যোগদানের পর থেকে হাসপাতালে সব ধরণের অনয়িম-দুর্নীতি রোধ কল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। আন্ত বিভাগে ভর্তি রোগীদের খাবারের মান উন্নত করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের সেবার মান সন্তোষজনক বলে মনে করছেন সেবা গ্রহিতা রোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালে কর্মরত একাধিক কর্মচারীরা বলেছেন, ডা: পুলিন বিহারী ধর যোগদানের পর থেকে অনেকাংশেই হাসপাতালে স্বচ্ছতা ফিরে এসেছে। অনেকেই আগের মতো অনিয়ম ও দুর্নীতি করতে না পারায় তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন। হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নানা বানোয়াট জটিলতা সৃষ্টি করতে উদ্যেত হয়েছেন।
চিকিৎসা নিতে আসা আলীপুর গ্রামের লোকমান আহমদ জানান, হাসপাতালে চিকিৎসার মান ভালো। তবে চিকিৎসক ও নার্সের সংকট রয়েছে।
কাঞ্চনপুর গ্রামের ফাতেমা বেগম বলেন, আগের চেয়ে হাসপাতালের চিৎিসা সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নিজেই প্রতিনিয়ত চিকিৎসা সেবার সার্বিক খোঁজ খবর রাখেন।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: পুলিন বিহারী ধর বলেন, হাসপাতালে জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। সীমিত জনবল নিয়ে চিকিৎসা সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আন্তরিক ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অপর দিকে জনবল সংকটের বিষয়ে ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।