কাজিরবাজার ডেস্ক :
যে যতো যা-ই কিছু বলুক না কেন- পশ্চিমবঙ্গ আর আসাম থেকে বাংলাদেশিদের বিতাড়ন করা হবে বলে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ।
বলেছেন, ‘মমতা আজ এনআরসির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। কিন্তু তিনি যতই এই ইস্যুতে রাজনীতি করুন- আসাম থেকে বাংলাদেশি চিহ্নিত করে তাদের বিতাড়ন করা হবেই। এনআরসি করার উদ্দেশ্য এটাই।’
শনিবার দুপুরে কলকাতার মেয়ো রোডের বিজেপির রাজনৈতিক সভায় দাঁড়িয়ে মুখ্য বক্তা অমিত শাহ এ কথা বলেন। পশ্চিমবঙ্গের মাঠে বিজেপির এই সভা আয়োজন নিয়ে দীর্ঘদিন সেখানকার রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা চলছিল।
যুব জনতা মোর্চার সভায় অমিত শাহের বক্তৃতার নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারও। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এ রাজ্য থেকে মমতা সরকারকে উপড়ে ফেলার চ্যালেঞ্জও ঘোষণা করলেন অমিত।
অমিত শাহ বলেন, ‘আগে বাংলাদেশি অনুবেশকারীদের তাড়ানোর কথা বলতেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। ২০০৫ সালে লোকসভায় দাঁড়িয়ে তিনি নিজেই এই ইস্যুতে সংসদ উত্তাল করেছিলেন, হাতে থাকা ফাইলও স্পিকারের দিকে ছুঁড়ে মেরেছিলেন। কিন্তু আজ তিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট ব্যাংক বানিয়েছেন।’
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির মুখে এদিন পরিষ্কার হুমকিও শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরাই বোমার কারখানা তৈরি করেছে। এসব অনুপ্রবেশকারীদের রাজ্য থেকে তাড়ানো হবে। পশ্চিমবঙ্গবাসীকে এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল হয়ে রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’
পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এখন তৃণমূলের মাফিয়া রাজত্ব চালাচ্ছে বলেও অমিত শাহ অভিযোগ করেন। বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে কলকাতা আসার পুরো পথ জুড়ে তৃণমূল ব্যানার লিখেছে যে বাংলাবিরোধীদের তাড়ান। কিন্তু আমরা বাংলার বিরোধী নই, আমরা মমতা এবং তৃণমূল বিরোধী।’
মমতাকে উৎখাত করতে বিজেপি প্রত্যেক জেলায় জেলায় আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নরেন্দ্র মোদির এই ঝানু সেনাপতি।
সভায় বক্তব্য রাখেন- বিজেপি রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা, সমিক লাহিড়ী প্রমুখ।