সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেছেন শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে পারলেই মানুষের সকল মৌলিক অধিকার পূরণ হয়ে যায়। শিক্ষা এখন আর সুযোগ নয় অধিকার। শিক্ষাসহ সামাজিক সূচকে সিলেট পিছিয়ে থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এখনো আমাদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৬০ ভাগের বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকে। ঝরে পড়ার হার আমরা পুরোপুরি কমিয়ে আনতে পারিনি। সুনামগঞ্জসহ সিলেটের বিভিন্ন অবহেলিত এলাকায় শিক্ষকরা যেতে চান না। স্থানীয়ভাবে আমরা শিক্ষক পাচ্ছি না। এজন্য সিলেটবাসীকে এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষাকে কাজে লাগাতে পারলেই জীবনে সফলতা সম্ভব। তিনি রবিবার সিলেট নগরীর একটি হোটেলে ডেভেলপমেন্ট অব এসডিজি ফোর স্ট্র্যাটিজিক ফ্রেমওয়ার্ক এন্ড একশন প্ল্যান ফর বাংলাদেশ শীর্ষক সাব ন্যাশনাল কনসালটেশন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট এফেয়ার্স (আইডিয়া)’র উদ্যোগে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, ই্উনেস্কো, বিএনসিইউ এবং গণস্বাক্ষরতা অভিযান এর সহযোগিতায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী প্রধান রাশেদা কে. চৌধুরী। গেষ্ট অব অনার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: গিয়াস উদ্দিন আহমেদ এবং ইউনেস্কর এডুকেশন প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট সুন লি। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিয়ার সহকারী পরিচালক নাজিম আহমদ। সেমিনারের উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন কে.এম. এনামুল হক উপ-পরিচালক, গণস্বাক্ষরতা অভিযান, ঢাকা। সভার শুরুতে বিষয়বস্তু উপস্থাপনা করেন, শ্যামল কান্তি ঘোষ ও জিয়া-উস সবুর। তথ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক উপস্থাপনা করেন ড.সৈয়দ শাসছুদ্দোহা, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, বেনবেইজ, ঢাকা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তাহমিনা খাতুন, উপপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, সিলেট বিভাগ, আবু শাফায়েত মো: শাহেদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সিলেট, মো: গোলজার আহমদ খান, জেলা শিক্ষা অফিসার, সিলেট, মো: ওবায়দুল্লা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, সিলেট, শিরিন আক্তার, প্রোগ্রাম অফিসার, ই্উনেস্কো, বাংলাদেশ, জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ, সিলেট বিভাগে কর্মরত এনজিও প্রতিনিধিবৃন্দ, আইনজীবী, সাংবাদিক, নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি