স্টাফ রিপোর্টার :
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ নগরবাসী জন্য সুখকর কোন বার্তা দিতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে আজ শুক্রবার। গতকাল বৃহস্পতিবার আবহাওয়া বার্তায় বলা হয় আজ শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে তবে রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে।
আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে বৃষ্টির তেমন কোন সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে আবহাওয়া অফিস কর্মকর্তারা জানান, বছরের এমন সময়ে তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় প্রচণ্ড গরম অনুভূত হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বাতাসের আর্দ্রতা পরিমাপ করা হয়েছে ৬৮ শতাংশ। যা সন্ধ্যা ৬টায় কমে ৬৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গতকালকে সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় বেলা ২টার দিকে গরম ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস অনুভূত হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তা কমে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেটে কোন বৃষ্টিপাত হয়নি বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয় আজ শুক্রবার সূর্যোদয় হবে ৫টা ১৪ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটে।
জানা যায়, প্রকৃতির নির্মম তাপদাহে পুড়ছে সারা দেশ। বৈশ্বিক উষ্ণায়নে ক্রমেই প্রভাব ফেলেছে লোকজনের জনজীবনে। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরম আরও বেশি অসহনীয় হয়ে উঠছে। অব্যাহত তীব্র তাপদাহের কারণে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। তাপদাহের বৃদ্ধির সাথে সাথে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রকমের রোগবালাই। শিশু থেকে শুরু করে যুবক বৃদ্ধরাও আক্রান্ত হচ্ছেন সর্দি, কাশি, জ্বর, ম্যালেরিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে। বিশেষ করে গত দুদিনের প্রচণ্ড গরমে জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। ঘামতে ঘামতে রাস্তায় হাঁটছেন পথিক। যানজটে আটকা পড়া মানুষের অবস্থা আরও খারাপ। হাঁসফাঁস অবস্থা রাস্তায় বের হওয়া শ্রমজীবী মানুষের। দিন বাড়ার সাথে সূর্যের প্রখরতার প্রচণ্ড তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ নিজ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে একেবারেই বাইরে বের হচ্ছেন না। তবে খেটে খাওয়া মানুষ বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে দৈনন্দিন কর্মকান্ড করতে বাধ্য হচ্ছেন। কোথাও একটু স্বস্তি নেই।