২৩ জুন আন্তর্জাতিক পাবলিক সার্ভিস দিবস বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সিলেটে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সিলেট নগরীতে র্যালী ও সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের জেলা রশাসক নুমেরী জামানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আজম খান। সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের সামন থেকে র্যালী বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদিক্ষণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে আলোচনা সভার মাধ্যমে শেষ হয়। দিবসটি উপলক্ষে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আজম খান বলেন, জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্যবৃন্দকে সততা, দক্ষতা ও সর্বোপরি পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দিবসটি উপলক্ষে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত সকল কর্মচারীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সকল সময়ে জনগণের সেবা করিবার চেষ্টা করা প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির কর্তব্য।’ তিনি বলেন, এজন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের সবসময় সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। জনগণ যাতে নির্বিঘেœ এবং দ্রুততার সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত সরকারি সেবাসহ সকল ন্যায্য অধিকার পায় তা নিশ্চিত করতে সিভিল সার্ভিসের প্রতিটি সদস্যকে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সব সময় জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। সিলেটে জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান বলেন, দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরিকল্পনা প্রণয়ন থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের রয়েছে নিবিড় সংযোগ। একটি প্রযুক্তিনির্ভর, আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র গঠনে বর্তমান সরকার রূপকল্প-২০২১ ও রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, এ লক্ষ্য সামনে রেখে সরকারের বহুমুখী পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের সদস্যবৃন্দকে সততা, দক্ষতা ও সর্বোপরি পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট মেট্রোপলিটনের পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ বলেন, এ দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ট্রান্সফর্মিং গভর্নেন্স টু রিয়েলাইজ দ্যা সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। বর্তমান সরকার স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক কর্মকাণ্ডে বিশ্বাসী- এ কথা উল্লেখ করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, জনপ্রশাসনকে জনমুখী ও সেবাবান্ধব করার জন্য সরকার অব্যাহত প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সরকারের অন্যতম অঙ্গ হিসেবে নির্বাহী বিভাগ তথা জনপ্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘সরকার ডিজিটাল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছ। সরকারি কাজে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা হয়েছে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নয়ন কার্যক্রমকে টেকসই করার জন্য কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, বিদ্যমান সেবার সহজীকরণ, ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি সিলেট সিভিল সার্জনের পরিচালক হিমাংসু লাল রায়, সিলেট জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নরুল ইসলাম, সিলেট জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু শাফায়াত মুহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আহাদ, সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আলতাফ হোসেন, সিলেট বেলা’র বিভাগীয় সমন্বয়ক এডভোকেট শাহ শাহিদা, সিলেট সড়ক ও জনপদের নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত । বিজ্ঞপ্তি