কাজিরবাজার ডেস্ক :
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার জন্য নাম নিবন্ধন করেও টেস্টে টেকেনি কিংবা সরে গেছে, এবার এমন শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭৫। বুধবার (২৮ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের দেওয়া পরিসংখ্যানে এই তথ্য জানা যায়।
২০১৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ২০১৬-২০১৭ সালে নিবন্ধন করেছিল ১৩ লাখ ৩ হাজার ৭৮৬ জন ছাত্রছাত্রী। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১০ লাখ ১৮ হাজার ৪১১ জন। এই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৩৭৫ জন।
গত বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঝরে পড়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার। গত বছরের তুলনায় এবার ঝরে পড়া শিক্ষার্থী বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের বাস্তবতার দিকে তাকালে ঝরে পড়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কেন বেড়েছে তা বোঝা যাবে। দারিদ্র তো আছেই, এছাড়া পারিবারিক সীমাবদ্ধতার কারণে মেয়েদের তড়িঘড়ি বিয়ে দেওয়া হয়। তবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। ফলে ঝরে পড়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও আগামীতে কমে আসবে, এই আশা আমরা করতে পারি।’
আগামী ২ এপ্রিল শুরু হবে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা। এ উপলক্ষে বুধবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে মন্ত্রণালয়। এ সময় ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, অতিরিক্ত সচিব চৌধুরী মুফাদ আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. মোল্লা জালালউদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব জাভেদ আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকসহ মন্ত্রণালয় দফতর ও সংস্থার প্রতিনিধিরা।