প্রেম ও দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মদিন আজ

52

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আমি যুগে যুগে আসি, আসিয়াছি পুনঃমহাবিপ্লব হেতু/এই ¯্রষ্টার শনি মহাকাল ধূমকেতু…। বড্ড পরাধীন সময়ে ঝড়ের গতিতে ধূমকেতুর মতোই আবির্ভূত হয়েছিলেন তিনি। তাঁর এক হাতে ছিল ‘বাঁকা বাঁশের বাঁশরী আর হাতে রণতূর্য।’ প্রেমদ্রোহের দ্বৈতসত্তায় নিজেকে গড়েছিলেন। সাম্যের মানবের এবং মানবতার কবি ‘অপমানিতের মরম-বেদনা, বিষ-জ্বালা’ বুকে ধারণ করেছিলেন। সারা জীবন ‘গন্ধবিধুর ধূপ’ হয়ে জ্বলা ‘দুখু মিয়া’ তিনি। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
আজ ২৫ মে শুক্রবার ‘ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো মহান পুরুষের’ ১১৯তম জন্মবার্ষিকী। বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ সারা দেশে দিবসটি উদ্যাপিত হবে। নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। অতি দরিদ্র পরিবারের সন্তান, পড়ালেখা শুরু করেন মক্তবে। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর দারিদ্র্যের কারণে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বেশি দূর এগোয়নি। মাত্র ১০ বছর বয়সেই গোটা পরিবারের ভার কাঁধে নিতে হয় তাঁকে। জীবিকার প্রয়োজনে রুটির দোকানে কাজ নেন। মসজিদের মুয়াজ্জিন, মাজারের খাদেম হিসেবেও কাজ করেছেন। তরুণ বয়সে সেনা সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছেন যুদ্ধেও। সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। করেছেন রাজনীতি।
এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনে সারা দেশে উদযাপিত হবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী। কবির মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন সর্বস্তরের মানুষ। দিনভর চলবে আলোচনা স্মৃতিচারণ।
জাতীয় পর্যায়ে নজরুল জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে ত্রিশাল কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হবে। নজরুলের স্মৃতিধন্য ময়মনসিংহের ত্রিশালে থাকবে বিশেষ আয়োজন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ।
এছাড়া সারা দেশের অসংখ্য সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন জাতীয় কবিকে শ্রদ্ধা ভালবাসায় স্মরণ করবে। দ্রোহ প্রেম সাম্যের কবিকে অঞ্জলি জানাবে জাতি।